আমতা: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল যে প্রয়াত ছাত্র নেতা আনিস খানের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হবে। সিটের ওপর আদালত ভরসা রেখেই এই নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও এর সঙ্গে ছিল একাধিক শর্ত। সেই প্রেক্ষিতে আজ আনিসের দেহ কবর থেকে তুলতে যায় পুলিশ। কিন্তু ফের এই ইস্যুতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ‘বাধা’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন সেই আনিসের বাবাই। তিনি প্রথমেও পুলিশকে দেহ নিয়ে যেতে দেননি। তখন অবশ্য আদালতের নির্দেশ আসেনি। কিন্তু এখন নির্দেশ আসার পরেও কেন বাধা দিচ্ছেন তিনি? এর পিছনেও রয়েছে কারণ।
আরও পড়ুন- ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়রা ফিরতে পারলেন না! অবতরণই হয়নি বিমানের
আসলে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল ম্যাজিস্ট্রেট নয় জেলা বিচারকের উপস্থিতিতে হবে এই কাজ। আর ময়নাতদন্তের ভিসেরা জেলা জজ তদারকি করবেন। তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন কারা কারা এবং কখন ময়নাতদন্তে উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু এদিন আনিসের বাবা জানিয়েছেন, জেলা আদালতের বিচারক ঘটনাস্থলে না এলে কবর থেকে দেহ তোলা যাবে না। আনিসের দাদা সাবির খান বলেন, আদালতের নির্দেশ মেনে দেহ তুলতে দেবেন তারা। তার জন্য সময় চেয়েছেন। কিন্তু সিট সেই সময় তাদের দিচ্ছে না। এদিন কবর থেকে আনিসের দেহ তুলে এসএসকেএম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করার কথা। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেহ তুলে ময়নাতদন্তে না পাঠানো হলে সমস্যা বাড়বে।
এর আগেই অবশ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন আনিসের বাবা। দাবি করেছিলেন, শনিবার ভোররাতে সিট সদস্যরা তাঁর ছেলের দেহ চুরি করতে এসেছিলেন! তাঁর কথায়, দেহ চুরি করার উদ্দেশেই এসেছিল পুলিশ। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ আনিসের বাবা। সেই প্রেক্ষিতেই তিনি চেয়েছিলেন যাতে তাঁর উপস্থিতিতে আনিসের দেহ কবর থেকে তোলা হয়। কিন্তু কেন দেহ তুলতে শনিবার ভোরেই হাজির হয় পুলিশ, এই প্রশ্ন তিনি করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছিলেন, এই ধরণের কাজ দেখার পরেই সিটের ওপর তাদের ভরসা আরও চলে যাচ্ছে। কী ভাবে সিটের ওপর তারা ভরসা রাখবেন ভেবে পাচ্ছেন না।
