কলকাতা: গ্রাম অঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্যের আড়াই হাজারের বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতকে আরও প্রায় ৪৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। বিগত বছরে কাজে সাফল্য পর্যালোচনা করে বিশ্বব্যাংক পঞ্চায়েত গুলিতে অর্থ বরাদ্দ করেছে। রাজ্যে মোট ৩২২৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ২৫৬৮ টি পঞ্চায়েত তাদের কাজের নিরিখে এই বরাদ্দ পাচ্ছে। এই টাকায় পঞ্চায়েতগুলো তাদের এলাকায় রাস্তা নির্মাণ, পানীয় জলের জন্য গভীর নলকূপ খনন, নিকাশি নালা তৈরি, নতুন কালভার্ট, গ্রামীণ আবাস, সৌর শক্তির ব্যবহারের মত পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করবে বলে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন।
২০১১ সাল থেকে রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলো তাদের কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রতি বছর বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে অনুদান পেয়ে আসছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বিশ্ব ব্যাঙ্ক রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলোর জন্য ৪৬১ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। যা গত অর্থ বছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি। এদিকে, রাজ্যে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে ভৌগলিক অবস্থান সংক্রান্ত সমীক্ষা বা জি আই এস সার্ভের কাজ শুরু হয়েছে। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতর এই সমীক্ষার তথ্য সমন্বিত একটি পোর্টালও তৈরি করার কাজে হাত দিয়েছে। এই সমীক্ষার মাধ্যমে ছোট শিল্প ক্লাস্টার ও তার সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হবেন বলে দফতর সুত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন- খাস কলকাতায় এবার পুলিশের জালে ভুয়ো IPS, উদ্ধার বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি
দেশ বিদেশের আগ্রহী শিল্পপতিরা এই সব শিল্প ক্ষেত্রগুলোর সঠিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন। যা বিনিয়োগ টানতেও সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এলাকা ভিত্তিক কুটির শিল্পের জন্য বিখ্যাত। যেমন হাওড়ার জরি শিল্পকে তুলে ধরতে আন্দুলে জরি হাব তৈরি করা হয়েছে, একই রকম ভাবে শিলিগুড়িতে কাঠের আসবাব পত্র তৈরির ফার্নিচার ক্লাস্টার, বারুইপুরে ধূপকাঠি তৈরির শিল্প গুচ্ছ ক্লাস্টার। ভৌগলিক সমীক্ষা এদের কাজ ও ব্যবসার পরিধিকে আরও প্রসারিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।