করোনায় নাকাল রাজ্য, অসহায়তার সুযোগে ‘গলা কাটছে’ অ্যাম্বুলেন্স!

করোনায় নাকাল রাজ্য, অসহায়তার সুযোগে ‘গলা কাটছে’ অ্যাম্বুলেন্স!

কলকাতা: করোনাকালে মানুষের অসহায়তার সুযোগে ফায়দা লুটছে একদল অসাধু ব্যবসায়ী৷ করোনা রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স পেতে একদিন যখন মানুষকে নাকাল হতে হচ্ছে, তখন রীতিমতো গলা কাটছে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের একাংশ৷ মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া হাঁকছেন তাঁরা৷ যেন রমরমিয়ে চলছে কালোবাজারি৷ 

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর শিল্পনীতিকে হাতিয়ার করেই রাজ্যে শিল্পোন্নয়ন ঘটাবেন ‘সৈনিক’ পার্থ

তাহলে বলা যাক সাগরদত্ত হাসপাতালের কথা৷ সরকারের তরফে ভাড়া বেধে দেওয়া হলেও, একদল মানুষ মুনাফা কামানোর চেষ্টায় ব্যস্ত৷ কামারহাটির সাগরদত্ত হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজের ভাড়া হাঁকা হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা৷ যদিও অ্যাম্বুলেন্সে নেই এসি৷ কিন্তু কোনও ভাবেই ভাড়া কমাতে নারাজ অ্যাম্বুলেন্স চালক৷ তাঁদের কথায় এ বিষয়ে হাসপাতালের কোনও গাইডলাইন নেই৷ তাঁদের দাবি, কোভিড রোগী বলে খরচা বেশি৷ স্যানিটাইজ করতে হয়৷ ঝুঁকি নিয়ে যেতে হয়৷ তাই ভাড়াও বেশি৷ আর অক্সিজেন না নিলে ৫০০ টাকা কম৷ অপর একটি অ্যাম্বুলেন্সকে জিজ্ঞাসা করা হলে, সে আবার বলে মেডিক্যাল যেতে ৪ হাজার টাকা লাগবে৷ কারণ কোভিড রোগীর রেট বেশি৷ আর এমআর বাঙ্গুর নিতে হলে লাগবে সাড়ে ৬ হাজার টাকা৷ একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের অন্তর্তদন্তে উঠে এল এমনই ভয়াবহ ছবি৷ 

আরও পড়ুন- সুস্থতার হার বাড়ছে! রাজ্যে একদিনে সুস্থ ১৯,০০০-এর বেশি

এখানেই শেষ নয়৷ অ্যাম্বুলেন্স চালকদের কথায়, পিপিই পরে অনেক কষ্টে যেতে হয়৷ অনেকে ৮ হাজার টাকা চাইছে৷ সেখানে সাড়ে ৬ হাজার টাকা অনেক কম৷ তাঁদের বক্তব্য, রোগীর শারীরিক অবস্থার উপরেও ভাড়া নির্ভর করে৷ এক এক রোগীর জন্যে আবার এক সিলিন্ডার অক্সিজেন লাগে যাচ্ছে৷ কিন্তু এমনিতে অ্যাম্বুলেন্সের রেট কত? চালকরা জানালেন, কোভিড ছাড়া অক্সিজেন দিয়ে এমআর বাঙ্গুরের ভাড়া ১,৫০০ থেকে ১,৬০০ টাকা৷ তবে সেটাই এখন লাগছে সাড়ে ৬ হাজার টাকা৷ অপর এক অ্যাম্বুলেন্স চালক আবার বললেন, অক্সিজেন দিয়ে টালিগঞ্জ বাঙুরের ভাড়া পড়বে ৪,৫০০ টাকা৷ হাসপাতালে পৌঁছে প্রতি ঘণ্টার অপেক্ষার জন্য ৪০০ টাকা এক্সট্রা৷ ফোন করে যে সকল অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হচ্ছে, তারাও কম যাচ্ছে মা৷ সাগর দত্ত থেকে বাঙুর যেতে ভাড়া হাঁকছে সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা৷ করোনা নিয়ে যখন নাকাল গোটা রাজ্য তখন কোভিড রোগীদের নিতে এভাবেই মোটা টাকা গুনতে হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সের পিছনে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *