মুখ্যমন্ত্রীর শিল্পনীতিকে হাতিয়ার করেই রাজ্যে শিল্পোন্নয়ন ঘটাবেন ‘সৈনিক’ পার্থ

মুখ্যমন্ত্রীর শিল্পনীতিকে হাতিয়ার করেই রাজ্যে শিল্পোন্নয়ন ঘটাবেন ‘সৈনিক’ পার্থ

কলকাতা: ‘শিক্ষা’ থেকে সরিয়ে এখন শিল্পের দায়িত্ব সঁপা হয়েছে তাঁর কাঁধে৷ আর নতুন দায়িত্ব তিনি পালন করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই৷ বুধবার শিল্প দফতরের দায়িত্ব নেন তিনি৷ এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর শিল্পনীতিকে সামনে রেখে শিল্পপতিদের রাজ্যে আহ্বান জানালেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ 

আরও পড়ুন- সুস্থতার হার বাড়ছে! রাজ্যে একদিনে সুস্থ ১৯,০০০-এর বেশি

প্রসঙ্গত, এর আগেও রাজ্যের শিল্প দফতর সামলেছেন পার্থবাবু৷ সে দিক থেকে দেখলে তিনি আবার তাঁর পুরনো দফতরেই ফিরলেন৷ কিন্তু রাজ্যের শিল্প পরিস্থিতি নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যে শিল্প আনতে ব্যর্থ বলেও দাবি তুলেছে তাঁরা৷ সেক্ষেত্রে শিল্প দফতর সামলানো পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নিঃসন্দেহে একটা বড় চ্যালেঞ্জ৷ দায়িত্ব নেওয়ার পরেই অবশ্য পার্থবাবু জানিয়েছেন, রাজ্যের শিল্পোন্নয়নে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পনীতিকেই হাতিয়ার করবেন৷ তাঁর বার্তা মেনেই রাজ্যে কাজ হবে৷ এক্ষেত্রে পার্থবাবুর স্পষ্ট বক্তব্য, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসাবেই কাজ করবেন৷ তবে এই মুহূর্তে কোভিড মোকাবিলাই রাজ্যের অগ্রাধিকার, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি৷ 

গতকাল শিল্প দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই পার্থবাবু জানান, যে শিল্পই আসুক না কেন রাজ্য সরকার তাতে সাহায্য করবে৷ শিল্পক্ষেত্রে যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পাবেন শিল্পপতিরা৷ তবে এদিন সযত্নেই সিঙ্গুর প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান শিল্পমন্ত্রী৷ শুধু এটুকু বলেন, তাঁর দফতরের কোনও দুর্বলতা থাকলে তা কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হবে৷ সেই সঙ্গে রাজ্যে সমস্ত শিল্পপতিদের আমন্ত্রণ জানান তিনি৷ পার্থবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দেবেন, আমরা সেটাই মেনে চলব৷ শিল্প ক্ষেত্রে উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাঁর দেখানো পথই চূড়ান্ত হবে৷ 

এদিকে, যে ভাবে গোটা রাজ্যকে গ্রাস করেছে করোনা, তাতে এই মুহূর্তে অক্সিজেন উৎপাদনের উপর বেশি জোড় দেওয়া হচ্ছে বলে জানান শিল্পমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘করোনা মোকাবিলাই এখন মূল লক্ষ্য৷ তাই অক্সিজেন উৎপাদনে জোড় দেওয়া হবে৷ এছাড়াও সিলিন্ডার কম থাকায় রিফিলিং-এ অসুবিধা হচ্ছে৷ সেই দিকটাও দেখা হচ্ছে৷’’   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × two =