বোলপুর: জমি বিতর্কের মাঝে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে পাল্টা চিঠি দিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন৷ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন তিনি৷ সেই সঙ্গে নোবেলজয়ীর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের রাজনৈতিক বিরোধিতা করি, তাই আমার বাড়ি কেড়ে নিতে চাইছে। তাই হয়তো আমাকেই নিশানা করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন- আদালতের নির্দেশে ছাঁটাই ১,৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর তালিকায় একাধিক তৃণমূল নেতার নাম
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে পাল্টা চিঠি দিয়ে অমর্ত্য সেনের আইনজীবী জানিয়েছেন, শান্তিনিকেতনের বাড়ির জমি দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এর জন্য বিশ্বভারতীকেই ক্ষমা চাইতে হবে নোবলজয়ীর কাছে। প্রসঙ্গত, ১.৩৮ একর জমির উপর ‘প্রতীচী’ নির্মাণ করেছিলেন অমর্ত্য সেনের দাদু৷ তিনি ছিলেন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ক্ষিতিমোহন সেন৷ এই বাড়ি তৈরি হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের আমলে৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়মানুযায়ী ১.২৫ একর জমি লিজ দিয়ে সেই সময় বিশ্বভারতীর কর্মী, আধিকারিকদের থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ক্ষিতিমোহন সেন খুব অল্প সময়ের জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে ছিলেন। সেই হিসেবে তিনিও ওই জমির অধিকারী। কিন্তু আইনতভাবে তাঁর জমির পরিমাণ ১.২৫ একর। অতিরিক্ত ১৩ ডেসিমল জমি বিশ্বভারতীর৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, অবিলম্বে ওই জমি ফেরত দিতে হবে। এই মর্মে চিঠিও পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই পাল্টা চিঠি দেন অমর্ত্য সেন৷ ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, “১৩ ডেসিমেল জমি মাপজোক করলে কী পাওয়া যাবে? ভাল করে মাপলে ১৩ ডেসিমেল জমি, ১৩ ডেসিমেলই থাকবে। কী কারণে লোকে অঙ্ক করে বিশ্বভারতী কর্মকর্তাদের তা জানার প্রয়োজন হয়তো আছে। এটি পরিষ্কার হলে বিশ্বভারতীতে কাজকর্মের প্রয়োজন হয়তো একটু হ্রাস পেত। এবং বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের অকারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাসিত হওয়ার ভয়ও হয়তো কিছুটা কমত।”
উল্লেখ্য, এতদিন অমর্ত্য সেনের এই বাড়িটি তাঁর বাবার নামে ছিল। এবার বিতর্ক এড়াতে নিজের নামে মিউটেশন করার জন্য আবেদন করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। আগামী ২০ তারিখে বোলপুর বিএলআরও অফিসে হেয়ারিং।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>