ডোমজুড়: গেরুয়া ছেড়ে ফের ঘাসফুলে ফিরেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ত্রিপুরায় অভিষেকের সভা থেকে ঘরওয়াপাসি হয়েছে তাঁর৷ কিন্তু প্রাক্তন বিধায়ককে এখনও মেনে নিতে পারেননি ডোমজুড়ের একাংশ৷ বাধা পেয়ে ডোমজুড় থেকে ফিরতে হল তাঁকে৷ অথচ এই এই ডোমজুড়ই এক সময় রাজীব ‘গড়’ বলে পরিচিত ছিল৷ যদিও ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই৷
আরও পড়ুন- কাটোয়া গুলিকাণ্ডে নয়া মোড়, অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী প্রেমিকা! গ্রেফতার প্রেমিক
শুক্রবার রাতে হাওড়ার সলপ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বারের প্রাক্তন প্রধান তথা ডোমজুড়ের তৃণমূল সভাপতি সুধীরচন্দ্র ঘোষের মৃত্যু হয়৷ খবর পেয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার উদ্দেশে রওনা হন রাজীব। কিন্তু তিনি এলাকায় পৌঁছতেই প্রাক্তন মন্ত্রীকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। ‘রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দূর হঠো’ বলে স্লোগানও তোলেন তাঁরা৷ এমনকি ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ককে ‘মিরজাফর’ বলে আত্রমণ শানাতেও পিছপা হয়নি বিক্ষোভকারীরা৷ ক্রমশ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকলে প্রয়াত নেতার পরিবারের সঙ্গে দেখা না করেই ফিরে আসেন রাজীব৷
প্রয়াত তৃণমূল নেতা সুধীরচন্দ্রের ভাইপো গোপাল ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এটা একেবারেই ভাল কাজ হয়নি। এক জন মারা গিয়েছেন৷ আর সেখানেও রাজনীতি করা হচ্ছে।’’ কল্যাণ ঘোষের অনুগামীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলেও অভিযোগ গোপালবাবুর৷ যদিও অভিযোগ উড়িয়ে ডোমজুড়ের বিধায়কের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের কোনও বিক্ষোভ কর্মসূচি নেই। বিধানসভা ভোটের আগে উনি যে আচরণ করেছিলেন এটা তারই প্রতিক্রিয়া৷ গ্রামবাসীরাও এই কাজ করে থাকতে পারেন। আমি অন্যায় করলেও গ্রামবাসীরা একই ভাবে বিক্ষোভ দেখাতে পারেন।’’ তবে হাওড়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি৷
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিধানসভা ভোটে বিজেপি’র টিকিটে ডোমজুড় থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি৷ যদিও তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ ঘোষের কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন৷ তাঁকে নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে তৃণমূলের একাংশের মধ্যেও৷