কলকাতা: একজন জামিন চেয়েছিলেন, অন্যজন আবেদন করেননি। শেষে দুজনেই আবার চলে যাচ্ছেন জেলে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ১৪ দিনের জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফের জেল হেফাজতের নির্দেশই দেওয়া হয়েছে। আদালত এও জানিয়েছে যে, ভার্চুয়াল মাধ্যমেই পরবর্তী হাজিরা দিতে হবে পার্থ এবং অর্পিতাকে। আর ইডি চাইলে জেলে গিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: সৌজন্য! আহত বিজেপি নেত্রী মীনাদেবী পুরোহিতকে দেখতে হাসপাতালে ফিরহাদ
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ শুনানিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি জানিয়েছিলেন, ইডি কিছু তাঁর থেকে পায়নি। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি। বিরোধী দলনেতা ছিলেন। এসএসকেএম হাসপাতাল ও জোকার রিপোর্ট দেখার আর্জি করেন তিনি। এই বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আবেদন, ‘প্লীজ আমাকে দেখুন, আমার পাশে থাকুন।’ আসলে তাঁকে যে ভাবে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শারীরিক পরীক্ষার জন্য, সেই কথা বলতে গিয়েই কেঁদে ফেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু তাঁর আবেদন মঞ্জুর আজও হল না।
এদিকে অর্পিতা আজ আদালতে জানান, ইডি তাঁর বাড়িতে থাকার সময়ে ৪ ঘণ্টা বাথরুমেই ছিলেন তিনি, তারপর বেডরুমে। ইডি কী করেছে তা নাকি তিনি জানতেই পারেননি। তিনি জানেন না তাঁর সঙ্গে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। জানান, তাঁর বাড়িতে ইডি ছিল ৩০ ঘন্টা। তিনি সাত থেকে আট ঘন্টা বাড়িতে ছিলেন। কিছুই জানতেন না। অর্পিতার দাবি, তিনি সাধারণ জীবন যাবন করেন। একই সঙ্গে অর্পিতা জানান, তাঁর বাড়ি থেকে টাকা পাওয়া গেছে। কিন্তু টাকার ব্যাপারে তাঁর কিছুই জানা নেই। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তিনি অনেক দিন সিনেমার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর কোম্পানির নাম ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড। তবে এত টাকা তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে, তা তিনি জানতেন না।