কলকাতা: রাজ্যের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। ক্যাগ রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে কেন্দ্রের অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই ক্যাগ রিপোর্ট সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে মামলাকারীর প্রশ্নের জবাব এদিন দিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল।
আরও পড়ুন- ঘুড়ে যেতে পারে যুদ্ধের মোড়! বিশ্বের কোন কোন দেশের হাতে রয়েছে শক্তিশালী ট্যাঙ্ক?
মঙ্গলবার আদালতে এজি জানান, ২০২১ সালের রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে, সেই তথ্য রাজ্য আদালতকে দিয়েছে। ২০১৭-১৮ সালের রিপোর্টের ব্যাপারে তথ্য চাইলে আইনসভাকে এই মামলায় যুক্ত করা করতে হবে। এছাড়া তিনি সুপ্রিম কোর্টের একাধিক জাজমেন্ট উল্লেখ করে দেখান, ক্যাগ রিপোর্ট যখন পুরোপুরি তৈরি হয়ে যায় তখন সাধারণ মানুষের জন্য তা প্রকাশ করা হয়। এর আগের এক শুনানিতে অবশ্য এজি দাবি করেছিলেন, এখন এই নিয়ে মামলা শুনলে তার সঠিক বিচার হবে না। এদিকে মামলাকারীর তরফে আইনজীবীর বক্তব্য, যদি বেআইনি কাজ হয় তাহলে সেখানে জুডিশিয়াল রিভিউ প্রয়োজন, রিপোর্ট যতই সংসদ বা আইনসভার বিষয় হোক না কেন। ২০১১ সাল থেকে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। ২০১৭ – ১৮ সালের রিপোর্ট এখন কেন রাজ্য আইনসভায় পেশ করতে হবে? প্রশ্ন তোলেন তিনি। একই সঙ্গে এও অভিযোগ করেন, টাকার অপব্যবহার করা হয়েছে। ক্যাগের হিসাব অনুয়ায়ী, ২০১১ সাল থেকে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা খরচের কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ওষুদের জন্য হাহাকার পাকিস্তানে! Several medicines out of market in Pakistan” width=”560″>
সিবিআইয়ের তরফে আবার আদালতে জানান হয়েছে যে তারা তদন্ত করতে প্রস্তুত আছে। আদালতের নির্দেশ পেলে তারা তদন্ত করতেই পারে। এই বিষয়ে এজি মন্তব্য করেন, এখানে যে মামলা করা হয়েছে তাতে শুধুমাত্র ২০২১ সালের ক্যাগ রিপোর্টকে ভিত্তি করা হয়েছে। যে রিপোর্ট আইনসভায় পেশ হওয়ার পর সেটা ফাইনালাইজ হবে। সেই সময় এখনও অতিক্রান্ত হয়ে যায়নি। তাই তাঁর যুক্তি, এই রিপোর্টের ওপর আলোচনার সময় এখনও শেষ হয়ে যায়নি। আগামী ১৩ মার্চ ফের শুনানি রয়েছে এই মামলার।