কলকাতা: বাবুলের ফুল বদল৷ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়৷ শাসক দলে যোগ দিয়েই বন্ধু ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি৷ বলেন, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়৷ বরং মানুষের সেবা করার সুযোগ৷ উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বাবুল৷ আর ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে৷
আরও পড়ুন- ধূমকেতুর মতো উত্থান, উল্কার বেগে ‘পতন’, রাজনৈতিক সন্ন্যাস কাটিয়ে এবার তৃণমূলে বাবুল
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন বাবুল বলেন, ‘‘রাজনীতি ছাড়ায় কথাটা মন থেকেই বলেছিলাম৷ আমার মনে হয়েছিল ৭ বছর যে কঠিন পরিশ্রম করেছি, রাজ্যের মানুষের জন্য যে কাজ করার চেষ্টা করেছি, সেখানে একটা দাড়ি পড়ে গিয়েছিল৷ এই দাড়ি কেন পড়েছিল আমার জানা নেই৷ এর পিছনে কোনও লজিকও পাইনি৷ শুধু বলতে পারি, গান থেকে দূরে গিয়ে বাংলার মানুষের জন্য কাজ করায় যে প্রচেষ্টা, সেটা ধুলোয় মিশে গিয়েছিল৷’’
বাবুল ফের বলেন, ‘‘মন থেকেই রাজনীতি ছাড়ার কথা বলেছিলাম৷ এর মধ্যে কোনও নাটকীয়তা ছিল না৷ আজকের এই সিদ্ধান্ত কোনও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়৷ এটা একটা সুযোগ৷ যা আমি মন থেকে গ্রহণ করেছি৷’’ তিনি জানান, সবকিছু গত তিন-চার দিনের মধ্যেই ঘটেছে৷ শেষ চার দিনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি৷ বাবুল বলেন, ‘‘মেয়ের স্কুলে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে কথা শুরু হয়েছিল৷ এর পর দিদি এবং অভিষেক আমার উপর তাঁদের যে আস্থা ও বিশ্বাস দেখিয়েছে তাতে আমি গর্বিত৷’’
তাঁর কথায়, ‘‘আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব শুভাকাঙ্খী মনে করছিল আমার সিদ্ধান্ত ভুল৷ তবে আমি মনে করি না, আবেগ থেকে নেওয়া সব সিদ্ধান্ত সব সময় ভুল হয়৷ তবে আমি আমার সিদ্ধান্ত বদল করেছি৷ আমি বাংলার সেবা করার একটা সুযোগ পেয়েছি৷ আগামী দিনে দিদি এবং অভিষেক আমাকে যে দায়িত্ব দেবে, তা পালন করব৷ আমি খুবই উচ্ছ্বসিত৷’’
সেই সঙ্গে আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলেও জানান তিনি৷ বাবুল বলেন, আমি রাজনীতি নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছি৷ কেউ কখনও বলতে পারেনি আমি রাজনীতি জগতের বাইরে থেকে এসেছি৷ তবে ভুল ত্রুটি সকলেরই হয়৷ আমারও হয়তো হয়েছে৷ তবে আসানসোলের আসন ধরে রাখার কোনও প্রশ্নেই নেই৷ সোমবার দিদির সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানান বাবুল৷ তাঁর সাফ কথা, বাংলার জন্য কাজ করতেই রাজনীতিতে ফিরেছি৷
আরও পড়ুন- বাবুল তৃণমূলে! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই এখন সত্যি
বাবুল সুপ্রিয় বলেন, আমি জানি বিজেপি হয়তো অনেক কটাক্ষ করতে৷ অনেক কিছু ট্রেন্ডিং হবে৷ এ বিষয়ে আমি অবগত৷ তবে সে সব নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন তিনি৷ ভবানীপুর প্রচারে কি দেখা যাবে তাঁকে? জবাবে বাবুল বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমার প্রচারের প্রয়োজন নেই৷ তবে দল চাইলে নিশ্চই যাব৷