কয়লা কাণ্ডে রাজ্য-সিবিআই সংঘাত! শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখল ডিভিশন বেঞ্চ

কয়লা কাণ্ডে রাজ্য-সিবিআই সংঘাত! শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখল ডিভিশন বেঞ্চ

কলকাতা:  কয়লা পাচার কাণ্ডে তদন্ত নিয়ে রাজ্য-সিবিআই সংঘাত৷ সিবিআই এর করা মামলার শুনানি শেষে রায় দান স্থগিত রাখলো কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চ৷ 

আরও পড়ুন-  ‘২০ বছর ভাত খাই না, আমার তো খাবার জোটে! তাহলে আর কীসের প্রয়োজন?’

কয়লা পাচার কাণ্ডে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছি সিবিআই। কয়লা পাচার ও আসনসোলের শিল্পাঞ্চলে অবৈধ খাদান নিয়ে একটি এফআইআর দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ যেখানে মূল অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয় অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে৷ এই এফআইআর রাজ্যের অনুমতি ছাড়া করা হয়েছে বলে দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে লালা৷ এই মামালায় লালার আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট৷ তবে উল্লেখ্য বিষয় হল, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এই মামলার শুনানির সময় বলেন, রেলের এলাকায় সিবিআই-কে তল্লাশি করতে গেলে রাজ্যের অনুমতি প্রয়োজন নেই৷ কিন্তু রেলওয়ের এলাকার বাইরে তাল্লাশি করতে গেলে রাজ্যর অনুমতি নিতে হবে৷ এখানেই তীব্র আপত্তি জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷  

আদালতের রায়ে বলা হয়, রাজ্যের জমিতে তদন্তের অধিকার একমাত্র রাজ্যের৷ সেখানে সিবিআই-এর তদন্ত করার অধিকার নেই৷ রাজ্যের এক্তিয়ারে থাকা এলাকায় তদন্তের জন্য রাজ্য সরকারের সম্মতি নিতেই হবে৷ কিন্তু আদালত যদি তদন্তের নির্দেশ দেয় তাহলে সেখানে খুশি তদন্ত করতে যেতে পারে সিবিআই৷ 

এই মামলায় বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এদিন রাজ্যের কাছে প্রশ্ন করে, রেল বা কেন্দ্রের কোনও জায়গায় অপরাধের তদন্ত শুরুর পর যদি জানা যায় এই ঘটনায় একাধিক অপরাধী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে রয়েছে সেক্ষেত্রে কী হবে? সেক্ষেত্রে কি রাজ্যের জায়গায় রেল পুলিশ আসতে পারবে না বা রেলের জায়গায় রাজ্য পুলিশ যেতে পারবে না? এমনটা হলে তো গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে৷ 

আরও পড়ুন- ‘বাংলা জিতব, দেশকে দেখব, মমতাকে হারানোর ক্ষমতা বিজেপির নেই’

এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য জানায়, রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকায় সিবিআই তদন্ত করতে পারবে না৷ তদন্ত করতে গেলে রাজ্যের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক৷ আদালত যদি নির্দেশ দেয় তাহলে সিবিআই যেখানে ইচ্ছে যেতে পারে৷ 
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দুটি মামলা রয়েছে সিবিআর-এর হাতে৷ একটি গরু পাচার ও অপরটি কয়লা পাচার কাণ্ড৷ সিবিআই-এর তদন্তে বাঁধা দেওয়া হলে তা সমস্যা তৈরি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ প্রয়োজনে তারা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে৷  

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 4 =