‘২০ বছর ভাত খাই না, আমার তো খাবার জোটে! তাহলে আর কীসের প্রয়োজন?’

‘২০ বছর ভাত খাই না, আমার তো খাবার জোটে! তাহলে আর কীসের প্রয়োজন?’

 রায়গঞ্জ: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শক্ত হাতে শাসকদলের হাল ধরতে উদ্যোগী হয়েছেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের পর দিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে তিনি দলের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। কখনো সভা মঞ্চ থেকে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন কখনো আবার তাঁর দলের নিয়ম নিষ্ঠা ও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের খতিয়ান পেশ করছেন জনতার সামনে। এদিনের নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় আরো একবার শোনা গেল ত্যাগের সুর।

বিজেপি দলটার খুব টাকার অহংকার, এদিন রায়গঞ্জের সভা থেকে এমনটাই দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, মানুষের সেবায় মনোনিবেশ করলে যে ব্যক্তিগত স্বার্থের কথা ভাবা যায় না, এদিন সেই বার্তাও দিয়েছেন তিনি। “কী হবে এত টাকায়?” বিরোধী দলনেতাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো।

উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে আজ তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভায় উপস্থিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই ফের তোপ দেগেছেন গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। নিজের অনাড়ম্বর জীবনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, “টাকার থেকে মানুষের দাম, মনুষ্যত্বের দাম অনেক বেশি। টাকা প্রয়োজন ততটুকুই যতটা সংসার চালাতে লাগে।” এ প্রসঙ্গে রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের “যত মত তত পথ” বাণীর স্মরণ করেও বিরোধীদের খোঁচা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

নিজের ব্যক্তিগত জীবনের সারল্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার তো মনে হয় না আমি একটু ভালো গয়নাগাটি পড়ি, বড় একটা বাড়ি করে থাকি! আমার মনে হয়, আমার তো বিছানা আছে, তাতে একটা চাদর পাতা আছে, মাথার উপর চাল আছে, আমার তো খাবার জোটে! তাহলে আমার আর কীসের প্রয়োজন?” বিজেপি এ রাজ্যে যেনতেন প্রকারেণ ক্ষমতা দখল করতে চাইছে, এদিন তেমনটাই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাংলার মসনদ যে আদেও ‘দিল্লি কা লাড্ডু’ নয় সে কথাই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 8 =