দুর্গাপুর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির উপরে বিশাল এক জুতোর বিজ্ঞাপন! বিশ্ব কবির প্রয়াণ দিবসে দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের সামনে কবিগুরুর মূর্তির উপর এই বিজ্ঞাপন নিয়ে তীব্র বিতর্ক৷ নেট মাধ্যমে ওঠে নিন্দার ঝড়৷ বিক্ষোভ দেখানো হয় বাঙালি সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন বাংলা পক্ষের তরফেও৷ প্রবল বিক্ষোভের মুখে অবশ্য বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়া হয়৷ দুর্গাপুর পুরনিগমের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন- মমতার সুর অধীরের গলায়, ভ্যাকসিন নিয়ে মোদীকে চিঠি
প্রসঙ্গত,দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের সামনে রবীন্দ্র মূর্তির উপর এই বিজ্ঞাপনটি কিন্তু নতুন নয়৷ কিন্তু টনক নড়ে গতকাল৷ কারণ রবিবার ছিল ২২ শ্রাবণ৷ বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবসে রবীন্দ্রনাথের ওই মূর্তির সামনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ সকালে কবিগুরুর মূর্তিতে মাল্যদান করতে গিয়ে বিজ্ঞাপনটি নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এর পর রবীন্দ্রনাথের মূর্তিটিকে গঙ্গাজলে স্নান করিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয় সংগঠনের তরফে৷ এই বিষয়ে কেন বুদ্ধিজীবীরা এতদিন প্রতিবাদ জানননি সেই প্রশ্নও তোলেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন- বিজেপি কি বাবার সম্পত্তি পেয়েছে নাকি? প্রশ্ন তুললেন অভিষেক
বাংলা পক্ষের সদস্য তথা চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, ‘‘এঁটা ন্যক্কারজনর ঘটনা৷ আমাদের সংস্কৃতি কোথায়. গিয়ে পৌঁছেছে এটা তারই প্রমাণ৷’’ রবীন্দ্র মূর্তির মাথার উপর জুতোর বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি’ও৷ তার উপর কবিগুরুর মূর্তির পাশে একটি প্রস্রাবগার এবং একটি রেস্তরাঁও গজিয়ে উঠেছে। ফলে মূর্তির কাছেই রেস্তরাঁর উচ্ছিস্ট ফেলা হয়। প্রস্রাবগারের অবস্থানটিও সঠিক নয়৷ অথচ এতদিন এ সব নিয়ে কোনও প্রতিবাদ হয়নি৷ এই ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন ‘দুর্গাপুর নাগরিক মঞ্চ’৷ নাম গোপনের শর্তে দুর্গাপুর পুরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, এটা দুঃখজনক ঘটনা। বিজ্ঞাপনের বিষয়টি নিয়ে যথাযথ খোঁজখবর নেওয়া হবে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।