কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন যে বাংলায় ভ্যাকসিন কম পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। এই নিয়ে তিনি বেশ কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন কিন্তু অভিযোগ করেছিলেন যে কোনো রকম উত্তর আসেনি। উল্টে সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যে তথ্য প্রকাশ করা হয় সেখানেও দেখা যায় যে বাংলায় তুলনামূলক কম ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। এই ইস্যুতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই কার্যত সুর মেলালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ভ্যাকসিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন তিনি এবং দাবি করেছেন বাংলায় বেশি ভ্যাকসিন পাঠানো হোক।
অধীরের বক্তব্য, বাংলার জনসংখ্যা অনুযায়ী ভ্যাকসিন মিলছে না এবং এই কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ জরুরী। তিনি তাঁর চিঠিতে এও দাবি করেছেন, বাংলার ৭০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ হয়নি, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই বাংলার সাধারণ মানুষের সুরক্ষার ভিত্তিতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর। চিঠিতে অধীর আরো বলেছেন, বাংলায় আনুমানিক তিন কোটি মানুষের টিকাকরণ হয়েছে, তাই বাংলার জন্য ভ্যাকসিনের বরাদ্দ বাড়াতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সংসদের কেন্দ্রীয় সরকার যে তথ্য প্রকাশ করেছিল সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল, দেশের ৫ রাজ্যকে পশ্চিমবঙ্গের থেকে বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে তিন রাজ্যে জনসংখ্যা বাংলার থেকে কম। এই তিনটির মধ্যে আবার দুটি বিজেপি শাসিত রাজ্য! কেন্দ্র তথ্য বলছে, গুজরাট, কর্ণাটক এবং রাজস্থানকে বাংলার তুলনায় বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, যাদের জনসংখ্যা বাংলার থেকে কম। এর পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রকেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। যদিও এই দুই রাজ্যের জনসংখ্যা বাংলার থেকে বেশি।
আরও পড়ুন- চাকরির সুযোগ দিচ্ছে এসসিবি
কেন্দ্রীয় তথ্য অনুযায়ী, সব থেকে বেশি পেয়েছে মহারাষ্ট্র। দু’নম্বরে উত্তরপ্রদেশ। এরপর রয়েছে গুজরাত, রাজস্থান এবং কর্নাটক। তার পর পশ্চিমবঙ্গ। ২০২১-এর আনুমানিক হিসাবে গুজরাত প্রায় ৭ কোটি, রাজস্থান প্রায় ৮ কোটি এবং কর্নাটক প্রায় ৭ কোটি জনসংখ্যার রাজ্য। কিন্তু বাংলার জনসংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। তাও এই রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ কম ভ্যাকসিন পেয়েছে।