রাজ্যপালের কাছে ভিক্ষা চেয়েছেন মমতা! নন্দীগ্রামে হার নিশ্চিত, দাবি অধীরের

রাজ্যপালের কাছে ভিক্ষা চেয়েছেন মমতা! নন্দীগ্রামে হার নিশ্চিত, দাবি অধীরের

6c8d104bfd0d1a5eb2c8262067d54185

কলকাতা: ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে ভোট চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে তা সকলেই জানেন। বয়ালের ওই বুথের ঘটনা তোলপাড় করে দিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিকে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তার পরেই বিরোধীরা কটাক্ষ করতে শুরু করেছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বুঝে গিয়েছিলেন যে তিনি হেরে গিয়েছেন, তাই ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন। এদিকে রাজ্যপালকে ফোন করা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দাবি করেছেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চিতভাবে হেরে গেছেন। রাজ্যপালকে ফোন করে ‘ভিক্ষা চাওয়া’ এর প্রমাণ।

অধীরের বক্তব্য, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে ঘটনা ঘটিয়েছেন তাতে স্পষ্ট যে তিনি অনেক আগেই বুঝতে পেরেছেন যে তিনি নন্দীগ্রামে হেরে গেছেন। প্রথম থেকেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির দালাল বলে কটাক্ষ করে গেছে। সেই রাজ্যপালকেই ফোন করে ভিক্ষা চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর থেকেই পরিষ্কার যে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে সবকিছু করেছেন। নন্দীগ্রামের হেরে গিয়েছেন বুঝতে পেরে শেষমেষ রাজ্যপালের কাছে ভিক্ষা চেয়েছেন তিনি, বলে কটাক্ষ করেন অধীর। এ প্রেক্ষিতে তারা আরও বক্তব্য, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাওয়া মানে, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস হেরে যাওয়া, কারণ উনি তো নিজেকে ২৯৪ আসনের প্রার্থী বলে দাবি করেন। তাই বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস হারতে চলেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। 

আরও পড়ুন- আমি নন্দীগ্রাম থেকেই জিতব আর আপনার মুখে চুনকালি ফেলব, মোদীকে হুঁশিয়ারি মমতার

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিঠি লিখেছেন সেই বিষয়েও সমালোচনা করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, বিজেপি কংগ্রেস মুক্ত ভারত চায় এবং মমতা চেয়েছিলেন কংগ্রেস মুক্ত বাংলা। এদিকে আবার বিজেপিকে হারানোর জন্য কংগ্রেসের কাছে হাত পাততে হচ্ছে তাঁকে। এক্ষেত্রে পরিষ্কার যে, কংগ্রেসের সাহায্য ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে সরাতে পারবেন না। অধীর এও দাবি করেছেন, কংগ্রেস ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় ক্ষমতায় আসতে পারতেন না। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পকেটমার আর মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্র এক লাগছে! বেনজির কটাক্ষ অধীরের

পকেটমার আর মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্র এক লাগছে! বেনজির কটাক্ষ অধীরের

ad4d5e898d08fd174c1c53132beee03b

কলকাতা: পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এদিন ই-স্কুটার চড়ে সকালে নবান্ন পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেরার সময়ও সেই একই স্কুটারে দেখা গেল তাঁকে, বরং এবার তিনি নিজে স্কুটার চালালেন। গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেনজির কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বললেন, আজ পকেটমারের চরিত্র আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্র একরকম লাগছে! এর অবশ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।

অধীর বলছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে যখন পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ছে তখন সরকার ভ্যাট কমায়নি।‌ এখন পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম যখন আকাশছোঁয়া তখন লিটার প্রতি এক টাকা কমিয়েছে রাজ্য সরকার। কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আগে থেকে ভ্যাট কমায়নি সেই প্রশ্ন আজ তুলেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি এও বলেন, ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস সরকার লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১২ টাকা কমেছে কিন্তু বাংলায় তেমন হয়নি। এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, পকেটমার যখন কারোর পকেট মেরে বুঝতে পারে তার কাছে বাড়ি ফেরা টাকা নেই সেও তাকে ৫-১০ টাকা দিয়ে দেয়। এখন সেই পকেটমারের চরিত্রের সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্র এক রকম লাগছে। এতদিন ধরে রাজ্য সরকার মানুষের টাকা মেরেছে, এখন নির্বাচনের আগে ই-নাটক করে মানুষের খাতির করতে চাইছে তারা, আক্রমণ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও বিষয়টিকে পুরোপুরি নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, বিগত ১০ বছরে সরকারের আয় বেড়েছে, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজেট এবং খরচ বেড়েছে। পেট্রোপণ্যের মূল্য এই প্রথম বাড়ছে না দেশে। আর মূল্যবৃদ্ধিতে সারা দেশের সমস্যা হচ্ছে না শুধু বাংলার সমস্যা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে দিলীপ মন্তব্য করেন, তিনি আজীবন স্কুটার, বাইকে ঘুরে বেড়িয়েছেন, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনোই এই ভাবে দেখা যায়নি। তিনি আজ যা করছেন পুরোটাই নাটক। তিনি মন্তব্য করেছেন, তিনি স্কুটার আর সরকার কিছুই চালাতে পারেন না।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *