আলিপুরদুয়ার: সম্প্রতি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, বিজেপি কখনো সিপিএম মুক্ত ভারতের কথা বলে না। সেই মন্তব্যে পশ্চিমবাংলায় অস্বস্তি বেড়েছিল অবশ্য ভাবে। কারণ এখানে সিপিএম এবং কংগ্রেস জোট বদ্ধ। এবার এই সংযুক্ত মোর্চা জোটের আরো অস্বস্তি বাড়ালেন খোদ বঙ্গীয় কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রকাশ্য নির্বাচনী জনসভায় তিনি সিপিএমকে স্বৈরাচারী বললেন! স্বাভাবিকভাবেই অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্যে বিতর্ক বেড়েছে হু হু করে।
আলিপুরদুয়ারের এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী সিপিএমকে স্বৈরাচারী বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি মন্তব্য করেন, সংযুক্ত মোর্চা এই বাংলায় নতুন শক্তি হিসেবে উঠে আসবে আর মিলেমিশে কাজ করবে। স্বৈরাচারী সিপিএম এবং স্বৈরাচারী তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাস্ত করবে তারা! অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এ কেমন জোট সঙ্গী যারা নিজেদের ‘বন্ধু’কেই স্বৈরাচারী বলছে! যদিও কংগ্রেসের তরফে ড্যামেজ কন্ট্রোল করে বলা হয়, অধীর রঞ্জন চৌধুরী ইচ্ছে করে এই কথা বলেননি, তিনি মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন। যদিও এতে বিতর্ক আরো বেড়েছে, কারণ অনেকেই মনে করছেন, অনেক সময় মনের কথাই এভাবে মুখ ফসকে বেরিয়ে যায়। আসলে অধীর চৌধুরী নিজে যা ভেবেছেন, সেটাই বলেছেন।
আরও পড়ুন- ন্যূনতম ২০০ আসন চাই! শাসন করলে পাল্টা শাসনের হুঁশিয়ারি মমতার
এমনিতেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই জোট হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা গিয়েছিল বেশ কয়েকবার। মূলত আব্বাস সিদ্দিকীর আইএসএফ-এর সঙ্গে আসন বিভাজন নিয়ে সমস্যা দেখা গিয়েছিল কংগ্রেসের। সিপিএম তাদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আসন ছেড়ে দিলেও কংগ্রেস আইএসএফকে আসন ছাড়তে চায়নি। সেই নিয়ে ব্রিগেডের মঞ্চ আব্বাস সিদ্দিকী প্রকাশ্যে আক্রমণ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। যদিও সেটি ছিল নাম না নিয়ে পরোক্ষে আক্রমণ। তবে কারো বুঝতে বাকি ছিল না তিনি কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেন বিষয়টিকে নিয়ে। তবে এখন সিপিএম কিভাবে ড্যামেজ কন্ট্রোল করবে তা হয়তো তারা নিজেরাও জানে না!