নন্দীগ্রাম, ভোটের প্রচার, পুলিশ মন্ত্রীর আঘাত অথচ পুলিশ নেই! সন্দেহ হচ্ছে অধীরের

নন্দীগ্রাম, ভোটের প্রচার, পুলিশ মন্ত্রীর আঘাত অথচ পুলিশ নেই! সন্দেহ হচ্ছে অধীরের

কলকাতা: নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে এদিন পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, চক্রান্ত করে ৪-৫ জন ভিড়ের মধ্যে থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে ধাক্কা মেরেছে। পায়ের পাশাপাশি তাঁর মাথায় চোট লেগেছে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে যে সময় এই ঘটনা ঘটে সেই সময় কোন পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল না বলেও অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক এই বিষয় নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ প্রকাশ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, পুলিশ মন্ত্রী আঘাত পাচ্ছেন অথচ ঘটনাস্থলে পুলিশ নেই, এটা কি করে সম্ভব।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হবার প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী জানান, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের পুলিশ মন্ত্রী। অথচ আজকের ঘটনায় শোনা যাচ্ছে তাঁর আশেপাশে পুলিশ ছিল না। অথচ তিনি নিজে পুলিশ মন্ত্রী রাজ্যের। এই প্রসঙ্গে অধীর সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, একদিকে তিনি নন্দীগ্রামে ভোটের প্রচারে, সব সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার জন্য একাধিক নিরাপত্তারক্ষী এবং পুলিশ থাকে, সহজে তার কাছাকাছি কাউকে যেতে দেওয়া হয় না। কিন্তু আজ এই ঘটনা ঘটে গেল, আবার ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল না বলে অভিযোগ তুলছেন খোদ পুলিশ মন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমন করে মন্তব্য করেন,  বাংলার দিদি এবং দেশের মোদী দুজনেই নাটক করতে একে অপরের পরিপূরক। আজকের গোটা ঘটনাকে তিনি নির্বাচনী প্রচার হিসেবেই দেখছেন, জানিয়েছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। 

আরও পড়ুন: বিগ ব্রেকিং: নন্দীগ্রামে ‘আক্রান্ত’ মমতা, বড়সড় চক্রান্তের অভিযোগ নেত্রীর!

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে অধীর বলেন, পুলিশ মন্ত্রী নিজে পুলিশি নিরাপত্তা পাচ্ছেন না এটা বিশ্বাস করা কখনোই যায় না। এটা সম্পূর্ণভাবে ভোটের প্রচারের জন্য ঘটানো হয়েছে। এটা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ভন্ডামি ছাড়া কিছুই নয়। শুধুমাত্র নির্বাচনী প্রচার এবং ভোটের কারণে মানুষের মায়া, মমতা এবং সহানুভূতি নেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। এইসব চক্রান্তের তত্ত্ব তিনি বিশ্বাস করেন না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *