‘আপাতত’ পদ যাচ্ছে না অধীরের

‘আপাতত’ পদ যাচ্ছে না অধীরের

কলকাতা: অধীর রঞ্জন চৌধুরী আপাতত সংসদে কংগ্রেসের দলনেতা থাকছেন। আজ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর উপস্থিতিতে দলের সংসদীয় কমিটির এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রদেশ কংগ্রেস দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। সংসদে বাদল অধিবেশন শুরুর ঠিক আগে দলনেতা পরিবর্তন করা যুক্তিযুক্ত নয় বলে হাইকমান্ড মনে করছে। তবে অধিবেশনের পরে দলের সাংগঠনিক স্তরে বেশকিছু রদবদল করা হবে বলে সূত্রের খবর। সেই সময় অধীর চৌধুরীর বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই অধীর রঞ্জন চৌধুরী লোকসভায় দলনেতার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আজকের বৈঠকে সংসদের দুই কক্ষে অধিবেশন চলাকালীন দলের ভূমিকা কী হবে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

আসলে কংগ্রেসের ভাবনাতেও রয়েছে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’। সেই প্রেক্ষিতে অধীর রঞ্জন চৌধুরী লোকসভার দলনেতার পদ হারাতে পারেন। বাংলার নির্বাচনে কংগ্রেস একটিও আসন পেতে পারেনি। সেই কারণে মনে করা হচ্ছে যে, অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সম্পূর্ণভাবে বাংলার সংগঠনে কাজে লাগাতে চাইছে কংগ্রেস হাই কম্যান্ড। তাই এই সিদ্ধান্ত নেবে তাঁরা। তবে আপাতত পদ হারাচ্ছেন না অধীর রঞ্জন চৌধুরী। যদিও তাঁকে ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বঙ্গ কংগ্রেস শিবিরে। ইতিমধ্যেই অধীর চৌধুরীর দল পরিচালনা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলে পদ ছেড়েছেন পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের পুত্র রোহন মিত্র৷

আরও পড়ুন- ‘সবার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’, সন্তান কোলে এই মন্ত্রেই জাগরিত চন্দনা

অধীরের সভাপতিত্বে কী ভাবে মিত্র পরিবার উপেক্ষিত হয়েছে, সে কথা উল্লেখ করেছেন তিনি৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে তাঁর দু’দফার মেয়াদে অধীর চৌধুরী কী ভাবে তাঁকে অপমান করেছে, কী ভাবে সোমেন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকার সময় যুব কংগ্রেসের নির্বাচনে তাঁকে হারানো হয়েছিল, সে কথাও তুলে ধরা হয়েছে৷ রোহনের কথায়, ‘আপনাকে ঘিরে থাকা চামচারাই আপনার অধঃপতন ডেকে এনেছে৷ সেই সঙ্গে দলেরও অধঃপতন ডেকে আনা হয়েছে৷’’ তাঁর কথায় কংগ্রেস এতটাই তলানিতে চলে গিয়েছে যে সেখান থেকে উঠে আসা সম্ভব নয়৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *