কলকাতা: বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্যে শান দিয়ে দিল্লিতে গিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বাংলা বিধানসভা নির্বাচন জেতার পর বিজেপির বিরুদ্ধে আরও বেশি করে সরব হতে চাইছে তৃণমূল। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দিল্লিতে গিয়ে আলাপ-আলোচনা সেরেছেন মমতা। কিন্তু নিজের রাজনৈতিক ভাষণে তিনি যা বলেন তাতে বিরোধী ঐক্যের সম্পূর্ণ অর্থ পালটে যায়। গতকাল ভবানীপুরে ভোট প্রচারে এক জন্সভায় ভাষণ দিয়ে মমতা কংগ্রেস সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন যাতে চোটে লাল কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এতটাই রেগে গেছেন যে বললেন, ইতিহাস মমতাকে ক্ষমা করবে না! কেন বললেন?
আরও পড়ুন- মানুষের টাকা নিয়ে চুপচাপ বসে থাকব না! স্পষ্টবক্তা বাবুল
আসলে গতকাল ভাষণ দিতে দিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহারের প্রসঙ্গ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, কংগ্রেসের যারা ‘মাথা’ তাঁদের গায়ে হাত দেয় না সিবিআই, ইডি। সিপিএম ৩৪ বছর শাসন করেছে, তাঁদের ওরা কত কত অন্যায় করেছে, তাঁদের গায়েও হাত পড়েনি। কিন্তু এখন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরপর পদক্ষেপ। মমতার কথায়, কেন্দ্রীয় সংস্থা সৌগত রায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত লোককেও ছাড়ে না। কিন্তু কংগ্রেস, সিপিএমের মাথাদের ধরেনি। এখানে দলের ‘মাথা’ বলতে তিনি কাকে বোঝাতে চাইছেন তা মোটামুটি স্পষ্ট।
আরও পড়ুন- ‘বাবুল একা নয়, এখনও কিছু বিশ্বাসঘাতক পড়ে রয়েছে,’ বিস্ফোরক তথাগত রায়
এই পরিপ্রেক্ষিতেই অধীরের বক্তব্য, বিরোধী ঐক্য যখন জমাট বাঁধছে বলে বিজেপির ভয়, তাই তৃণমূলকে সুপারি দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বলার জন্য। বিজেপির আতঙ্ক কাটানোর দায় নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ঐক্য প্রসঙ্গে বৈঠক করার পরে আবার তাদেরই বিরুদ্ধে কথা বলছেন তিনি। এইভাবে আখেরে তিনি লাভবান বানাচ্ছেন বিজেপিকে। ইতিহাস তাঁকে ক্ষমা করবে না। অন্যদিকে, সিপিএমের খোঁচা, ৩৪ বছর শাসন করলেও কারোর ক্ষমতা হয়নি নেতাদের দিকে দুর্নীতির আঙুল তোলার। কিন্তু তৃণমূল নেতারা দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছেন।