মধ্যরাতে ইডি দফতরে হাজির অভিষেক-শ্যালিকা! কাউকে দেখতে না পেয়ে ফিরলেন বাড়িতে

মধ্যরাতে ইডি দফতরে হাজির অভিষেক-শ্যালিকা! কাউকে দেখতে না পেয়ে ফিরলেন বাড়িতে

বাংলা: কয়লাপাচার-কাণ্ডে মধ্যরাতে চরম নাটকীয়তা৷ রাত ১২টা নাগাদ আইনজীবীকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর৷ কিন্তু, সেখানে কাউকে দেখতে না পেয়ে ফিরতে হল তাঁদের৷

আরও পড়ুন- ভারত-বাংলাদেশ রেলপথের অংশ ছিল আজকের বিধাননগর রোড! জানুন অজানা কাহিনী

একটি টেলিভিশন চ্যানেলে মেনকার আইনজীবী দাবি করেছিলেন, রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁর মক্কেলকে তলব করা হয়েছে৷ সেই মতো নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান তাঁরা৷ বেশ কিছুক্ষণ হাতে নোটিস নিয়ে অপেক্ষাও করেন৷ কিন্তু কারও দেখা মেলেনি৷ অতঃপর সেখান থেকে ফিরে আসেন তাঁরা৷ 

গত শনিবার মেনকা ব্যাঙ্কক যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমান বন্দরে পৌঁছলে, তাঁকে বাধা দেন অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা৷ টিকিট কাউন্টারে পাসপোর্ট জমা দিয়ে বোর্ডিং পাস নিতে গেলে মেনকাকে আটকানো হয়। কারণ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাঁর বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিস জারি করেছে। কারও বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হলে অভিবাসন দফতর বিদেশ যাত্রার অনুমতি দিতে পারে না। ওই দিন তাঁকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতরের একটি ঘরে বসিয়ে রাখা হয় বলেও দাবি। পরে দমদম বিমানবন্দরে এসে তাঁর হাতে তিন পাতার একটি সমন ধরান ইডি আধিকারিকরা৷ সেখানে উল্লেখিত হাজিরার সময়ে গড়মিল হয় বলেই খবর।  

এর পরেই এ প্রসঙ্গে একটি টিভি চ্যানেলে মেনকার আইনজীবী জানান, ১২ সেপ্টেম্বর ‘টুয়েলভ থার্টি এএম’ মেনকাকে সিজিও কমপ্লেক্সে  ইডি-র দফতরে তলব করা হয়েছে। সেই মতো রাত ১২টার সময় তাঁরা সিজিও কমপ্লেক্সে এসে হাজির হন। এসে দেখেন সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার মূল ফটক তালাবন্ধ৷ এর পর নিরাপত্তারক্ষীকে মেনকারা জানান, তাঁদের রাতে ডাকা হয়েছে৷ এ কথা শোনার পরই গেট খুলে দেন ওই রক্ষী। লিফটে করে ইডির অফিসে পৌঁছন মেনকারা। সেখানে গিয়ে দেখেন অফিস তালাবন্ধ৷ মিনিট ১০ অপেক্ষা করার পর কারও সাড়া না পেয়ে সেখান থেকে ফিরে আসেন। 

এ প্রসঙ্গে মেনকা জানান, ‘আমাকে রাতে ডাকা হয়েছিল। আমি এসেছিলাম। কিন্তু ভিতরে কোনও ইডি অফিসার না থাকায় ফিরে যাচ্ছি।’ সময়ের গণ্ডগোলের জন্য আজ হয়ত হাজিরা দেবেন না অভিষেকের শ্যালিকা, যদি না পাল্টা সমন জারি করা হয়৷ এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার-কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি  স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে একাধিকবার নোটিস পাঠিয়েছে ইডি।