কলকাতা: গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতার ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের পর জাতীয় স্তরে তৃণমূলকে নিয়ে আলোচনা আরো বেড়ে গিয়েছে। ত্রিপুরায় ইতিমধ্যেই সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু করেছে তৃণমূল এবং একই রকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে অসম ও দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে। এদিকে আজকের পর গোয়ায় সংগঠন মজবুত করার কাজ পুরোদমে শুরু করে দেবে তারা। আগামী বছর গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন এবং তার আগে বিজেপিকে সেই রাজ্য থেকে উৎখাত করতে ময়দানে নামবে ঘাসফুল। কিন্তু বিজেপিকে হারাতে কি অন্য দলের সাহায্য নেবে মমতা বাহিনী? সেই প্রশ্নের উত্তরে জল্পনা উদ্দীপক মন্তব্য করলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- একই পরিবারের ৩ জনকে লক্ষ্য করে গুলি, হত এক, আহত দুই
আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি গোয়ায় তৃণমূল সংগঠন এবং বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন যা নিয়ে জল্পনা বৃদ্ধি হয়েছে। এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন, বিজেপিকে হারাতে আগামীদিনে গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস আম আদমি পার্টির সঙ্গে কোনো রকম জোটে যাবে কিনা কারণ সেখানে তারাও নির্বাচন লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস একাই লড়াই করবে, তাই এই ধরনের কোন পরিস্থিতির প্রশ্নই ওঠে না। তাঁর কথায়, গোয়ায় লড়াই করার জন্য তৃণমূল একাই যথেষ্ট। বিজেপির সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করবে তারা এবং তাদের হারিয়ে ছাড়বে। এখন স্বাভাবিকভাবেই অভিষেকের এই মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে বিরোধী ঐক্য নিয়ে। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি গিয়ে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন, বিজেপি বিরোধী আওয়াজ তুলছেন এবং অন্যদিকে আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আম আদমি পার্টি সম্পর্কে এই মন্তব্য অন্য কথা বলছে। তাই খুব স্পষ্টভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে কি এবার আম আদমি পার্টি তথা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দূরত্ব বাড়বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের?
আরও পড়ুন- পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে কি মুকুলই? সিদ্ধান্ত নিতে হবে অধ্যক্ষকে, নির্দেশ হাইকোর্টের
শুধু আম আদমি পার্টি নয়, এদিন কংগ্রেসকেও সাংবাদিক বৈঠক থেকে একহাত নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সবথেকে বড় তফাৎ যে বিগত সাত বছর ধরে বিজেপিকে তৃণমূল হারিয়ে আসছে, আর কংগ্রেস বিজেপির কাছে হেরে আসছে। তৃণমূল একেবারেই কংগ্রেসের মতো নয় যারা শুধুমাত্র টুইটার আর সোশ্যাল মিডিয়াতে রয়েছে। তারা রাস্তায় নেমে কাজ করে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে। কংগ্রেস নেতাদের মতো দিল্লির বাড়িতে বসে না।