কলকাতা: আদালতের নির্দেশে কাঁকুরগাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ হস্তান্তর ঘিরে এনআরএস-এর মর্গে চরম উত্তেজনা৷ এনওসি নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে টালবাহানার অভিযোগ৷ দেহ লোপাটের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করে অভিজিতের পরিবার৷ হাসপাতালের গেটে এক পুলিশ কর্মীকে চড় মারেন বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি৷ শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, হাতিহাতি৷ পরে থানা থেকে এনওসি দেওয়া হয়৷ ও নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন- আরও এক উপনির্বাচন পুজোর আগেই! দিন ঘোষণা কমিশনের
এদিকে পুলিশের গায়ে হাত তোলার কথা অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি৷ তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ ধাক্কা ধাক্কি করেছে৷ আমার মনে হয় না কারও গায়ে হাত তুলেছি৷ ২০১২ সালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সার্জেনকে চড় মেরেছিলেন৷ তার যে শাস্তি হয়েছিল, আমারও তাই হবে৷’’ পরে ফের বয়ান বদলে তিনি বলেন, ‘‘ইচ্ছাকৃত ভাবে মারা হয়নি৷ ওখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল৷ পুলিশ বাজে ব্যবহার করছিল৷ পশ্চিমবঙ্গের আইন বিজেপি ও হিন্দুদের জন্য নয়৷ আমি চড় মেরেছি সেটা স্বীকারও করছি না আবার অস্বীকারও করছি না৷ মামলা হলে আদালতে বুঝে নেব৷ ’’
এদিকে, এই ঘটনার পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, একজন মৃত ব্যক্তির দেহ দেওয়া হচ্ছে না৷ ময়নাতদন্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ এটা কি মানবিকতা? সরকারের গালে থাপ্পর মারা উচিত৷ সামান্য মানবিকতা নেই৷ মেরে তো ফেলেছেনই৷ তার প্রতি সম্মানটুকুও নেই৷’’ হুমকির সুরে তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন কেউ মারা যায়নি৷ ৫৫ থেকে ৬০ জনকে হত্যা করা হয়েছে৷ হোমগার্ডের এত ক্ষমতা কীসের৷ তার কী অধিকার আছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে নাকি? চাকরি তো সারাজীবন করতে হবে৷ আমাদের কর্মীরাও থাকবেন৷ সে কি পাড়ায়, রাস্তায় থাকবে না? বিধায়ককে কেন তুই তোকারি করবে?’’
আরও পড়ুন- রাজ্যের ৬১ জন BJP বিধায়কের নিরাপত্তা সরাচ্ছে কেন্দ্র! চিঠি গেল নবান্নে
আজ সকাল থেকেই এনআরএস-এ উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা৷ অর্জুন সিং, সজল ঘোষ, প্রিয়াঙ্কা টিবরিওয়ালরা ছিলেন শুরু থেকেই৷ অর্জুন সিং ও সজল ঘোষের অভিযোগ, তাঁদের হাসপাতালে ঢুকতে বাঁধা দেওয়া হয়েছে৷ এর পর অভিজিৎ সরকারের দেহ আনার জন্য যখন তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার ও পরিবারের সদস্যরা পৌঁছন, তখন উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে৷ এর পরেই দেখা যায় দেবদত্ত মাজি হোমগার্ডকে চড় মারছেন৷ তাঁকে ধাক্কা দিয়েও সরিয়ে দেন৷ এদিকে এই উত্তেজনার জেরে হাসপাতালে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷