বাসে সহযাত্রীর কোলে বাচ্চা বসিয়ে চম্পট! একরত্তিকে নিয়ে বিড়ম্বনায় মাছ বিক্রেতা

বাসে সহযাত্রীর কোলে বাচ্চা বসিয়ে চম্পট! একরত্তিকে নিয়ে বিড়ম্বনায় মাছ বিক্রেতা

পশ্চিম মেদিনীপুর: অবাক কাণ্ড! ১৮ মাসের শিশু কন্যাকে বাসের সহযাত্রীর কোলে বসিয়ে চম্পট দিল এক ব্যক্তি৷ শিশুটিকে মায়ের কোলে ফেরাতে প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে হন্যে হয়ে ঘুরছেন মাছ বিক্রেতা রেবতী৷ দুধের শিশুকে নিয়ে নাজেহাল বছর ৫০ এই বেরতীদেবী৷ 

আরও পড়ুন- বাংলাদেশে ইসকনে হামলা: এপারে প্রতিবাদে সামিল হচ্ছে বিজেপি

কী ভাবে ঘটল গোটা ঘটনাটি? জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো শনিবারও মাছ বিক্রি করে বাস চেপে বাড়ি ফিরছিলেন বেরতী ভুঁইয়া নামে ওই মাছ বিক্রেতা৷ বাসে এক ব্যক্তি তাঁকে বাচ্চাটিকে ধরতে বলেন৷ তাতে অবশ্য আপত্তি জানাননি তিনি৷ কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ওই ব্যক্তি শিশুটিকে ফেলে বাস থেকে নেমে পালায়৷ বাসের যাত্রীরা হইহই করে উঠলেও তার নাগাল আর পাওয়া যায়নি৷ ঘটনাটি ঘটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুঁড়া থানার অন্তর্গত মেছগ্রামে। 

এদিকে, একরত্তি শিশুটিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রেবতী দেবী৷ তাকে নিয়ে ছোটেন পুলিশের কাছে৷ কিন্তু পুলিশের কথায় নিজের কাছেই বাচ্চাটিকে রেখে দেন তিনি৷ এর পর একবার দাসপুর হাসপাতাল একবার ঘাটাল হাসপাতালে শিশু কোলে ছুটে বেরাচ্ছেন বছর ৫০-এর এই মাছ বিক্রেতা৷ ব্যবসা ছেড়ে আপাতত শিশুটিকে সামলাতেই ব্যস্ত তিনি৷ কখন শিশুটির বাবা-মা’কে খুঁজে পাওয়া যাবে, সেই আশায় প্রহর গুনছেন৷

 আরও পড়ুন- অবশেষে মিলল স্পিকারের সময়, মঙ্গলে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বাবুল

রেবতী ভুঁইয়ার বাড়ি দাসপুর থানার জগন্নাথপুরে৷ মাছ বিক্রি করেই সংসার চলে তাঁর৷ গতকাল বাসে করে ফেরার সময়েই ঘটনমাটি ঘটে৷ এক মদ্যপ ব্যক্তি তাঁর কোলে বাচ্চা ধরিয়ে পাশের সিটে বসেন৷ কিন্তু মেছগ্রামে বাস থামতেই সেখান থেকে ধাঁ৷ কী করবেন বুঝতে না পেরে শিশুটিকে কোলে নিয়েই বাড়ি ফেরেন তিনি৷ কিন্তু কেউ শিশুটির খোঁজ না করায় তিনি দাসপুর থানায় যান৷ সেখান থেকেই প্রথমে দাসপুর হাসপাতাল ও পরে ঘাটাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে৷ সেই সঙ্গে শিশুটির বাবা-মায়ের খোঁজও শুরু করে পুলিশ৷ তার পরিবারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর৷ সঠিক তথ্য প্রমাণ দেখাতে পারলেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে শিশুটিকে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *