কলকাতা: ইস্তফা দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন তিনি৷ আগামী মঙ্গলবার অবশেষে ইস্তফা দিতে চলেছেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়৷ সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবুলকে সকাল ১১টায় সময় দিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা।
আরও পড়ুন- ‘মেঘনা মাঠে প্রোমোটিংয়ের চেষ্টা হলে হাতের পাঞ্জা কেটে নেব’, তৃণমূল নেতাদেরই হুঁশিয়ারি মদনের
রাজনৈতিক সন্ন্যাস ভেঙে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই একাধিক বার স্পিকারের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সময় চেয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু তাঁকে সময় দেননি স্পিকার। অবশেষে ১৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকালে বাবুলকে সময় দিয়েছেন তিনি৷ সেই মতো আগামী মঙ্গলবার দিল্লি গিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বাবুল সুপ্রিয়৷
বাবুল সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, যাঁদের টিকিটে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন, সেই দল ছেড়ে অন্য দলে গেলে পুরনো দলের সাংসদ পদ ধরে রাখাটা ‘অনৈতিক’ কাজ হবে। যদিও দল বদলের পরেও পুরনো দলের পদ ধরে রাখার দৃষ্টান্ত বাংলার রয়েছে৷ বাবুল সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলে কবে আসানসোলে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়, সেদিকেই আপাতত নজর থাকবে। কারণ লোকসভা ভোট হতে প্রায় ৩ বছর বাকি রয়েছে। এই আসনে বিজেপি কাকে নতুন প্রার্থী করে সে দিকেও সকলের নজর থাকবে৷ একই সঙ্গে তৃণমূলের টিকিটে কাকে দাঁড় করানো হবে, সেটাও নিশ্চিত ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ৷ আসানসোল উপনির্বাচনে কংগ্রেস ও বাম দলগুলি প্রার্থী দেয় কি না, সে দিকেও গুরুত্বপূর্ণ৷
২০১৪ সালে বিজেপি’র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে প্রথম বার ভোটে লড়ার সময় নরেন্দ্র মোদী আসানসোলের জনসভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘মুঝে বাবুল চাহিয়ে।’ তাঁর সেই আহ্বান শুনেছিল আসানসোলের মানুষ৷ ভোট দিয়ে বাবুলকে দিল্লি পাঠান তাঁরা৷ প্রথম বার ভোটে জিতেই মোদীর মন্ত্রিসভার অংশ হন তিনি৷ তবে থেকে একটানা মন্ত্রী পদে ছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটেও ব্যবধান বাড়িয়ে ফের জয়ী হন বাবুল। দ্বিতীয় বারেও মন্ত্রী হন তিনি। কিন্তু মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে বাদ পড়েন আসানসোলের সাংসদ। এর পরেই রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা করেন৷ কিন্তু ডেরেক ও’ব্রায়েনের মধ্যস্থতায় অবশেষে রাজনৈতিক সন্ন্যাল কাটিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি।