কলকাতা: জেলবন্দি নিয়োগ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। কবে বেরোতে পারবেন বা আদৌ পারবেন কিনা তা জানা নেই। তবে পরিস্থিতি যা হচ্ছে তা যে তাঁর জন্য আরও জটিল সে কথা বলাই যায়। কারণ মানিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল। তাঁর দাবি, অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য নেওয়া টাকা লোক পাঠিয়ে সংগ্রহ করতেন মানিক ভট্টাচার্য। এই মন্তব্যের পর যে ইডির অভিযোগ আরও জোরাল হল তা বলাই যায়।
আরও পড়ুন- দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা সুকন্যার, সায়গলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সম্ভাবনা কেষ্টা-কন্যাকে
ইডি আগেই দাবি করেছে যে, মানিকের পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে৷ বিভিন্ন সংস্থা ও যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। মানিকের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা৷ নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিকের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে৷ এছাড়াও তাঁদের দাবি ছিল, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য নিজের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে টাকা তুলেছেন। এখন মানিক ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস যা মন্তব্য করেছেন তাতে যে মানিকের চাপ আরও বাড়ল তা বলাই বাহুল্য। কিছুদিন আগেই অফলাইন রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয়েছিল তাপস মণ্ডলের থেকে। বুধবার এই সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের হিসাব দিতে ইডির দফতরে যান তাপস। সেখানেই প্রাথমিকের শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন তিনি।
ইডি সূত্রে খবর, তাপস স্পষ্ট দাবি করে বলেছেন যে, মূলত ডিএলএড প্রশিক্ষণের যে ৬০০টি কলেজ রয়েছে, সেখানে অফলাইনে ভর্তির জন্যই নেওয়া হত টাকা। লেনদেন হত মহিষবাথানে তাপসেরই একটি অফিসে। তবে ওই টাকা মানিকের কাছ থেকে কোথায় যেত তা অজানাই আছে। উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর এই অফিসেই হানা দিয়েছিল ইডি আধিকারিকরা।