নন্দীগ্রাম: ভোর-রাত থেকেই নন্দীগ্রামের ময়দানে শাসক-বিরোধী। প্রবল ঠান্ডার মধ্যে এদিন উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে ওঠার উপক্রম। ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ের ঘটনা নিয়ে সরব হয় তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলই। তার জন্যই তাদের এইদিনে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে নন্দীগ্রামে। সেই কারণে উত্তাপ বাড়ছে পূর্ব মেদিনীপুরে। শুক্রবার রাতেই নন্দীগ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। অন্যদিকে, শহিদ বেদীতে মালা দেওয়ার কর্মসূচি রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও।
আরও পড়ুন- মিড ডে মিলে এবার বাড়তি পুষ্টি, শুধু ডিম-সোয়াবিন নয়! পড়ুয়াদের পাতে পড়বে চিকেন-ফলও
শনিবার সকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতাই সংক্রান্ত পোস্ট করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই পোস্টের লেখা রয়েছে, ‘লালগড়ের নেতাই গ্রামে সিপিআইএমের হার্মাদ বাহিনী নিষ্ঠুরভাবে খুন করেছিল ৯ জন নিরীহ মানুষকে। অমর শহিদ, তোমাদের ভুলছি না, ভুলব না।’ জানা গিয়েছে, এদিন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে উপস্থিত থাকবেন শাসক দলের নেতারা। মোমবাতি মিছিল থেকে শহিদ বেদীতে মাল্যদানের কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। এদিকে বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে আগেই আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, শহিদ বেদীতে মাল্যদানের কোনও অধিকার নেই শুভেন্দু অধিকারীর। যদিও তার পাল্টা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরও।
বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, কুণাল ঘোষের নিজের কোনও এক্তিয়ার নেই আজকের দিন নিয়ে কোনও কথা বলার। ৭ জানুয়ারি যে ঘটনা ঘটেছিল সেখানে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। কুণালকে নাম না করে নিশানা করেছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, যাঁদের আন্দোলনের সঙ্গে কোনও যোগ ছিল না, তাঁরাও এখন নন্দীগ্রাম দিবস নিয়ে মাতামাতি করে। রাজ্যকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, সরকারের হাতিয়ার একটাই, মিথ্য মামলা।