কলকাতা: বিধানসভায় আজ যে ঘটনা ঘটেছে তাতে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিজেপির পাঁচ বিধায়ককে। তাঁদের মধ্যে আছেন খোদ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক জনসভায় যোগ দিয়ে তিনি আজ ব্যাখ্যা করেছেন যে কেন তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ইস্যুতেও জাত নিয়ে এসেছেন তিনি। বিধায়কদের নাম করে, তাঁদের জাত বলে শুভেন্দুর দাবি, এঁদের থেকে তৃণমূল ভোট পায় না, তাই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, বিজেপির কর্মীরা বিধানসভায় বাইরে মার খাচ্ছেন, আর তারা বিধানসভার ভিতরে।
আরও পড়ুন- ‘গুন্ডাবাজি করা বিরোধী দলনেতা’, বিধানসভা ইস্যুতে শুভেন্দুকে বিঁধলেন ফিরহাদ
এদিন শুভেন্দু বলেন, পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেস মিলেমিশে সন্ত্রাস চালাচ্ছে বাংলায়। ভোটের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে বোকা বানিয়েছিলেন। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষকে বোকা বানাতে পারেননি, তাই সেখানে হেরেছিলেন। আর আজ যারা সাসপেন্ড হলেন তাঁদের জাতের লোকেরা তৃণমূলকে ভোট দেয় না তাই তারা ১ বছরের জন্য বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড হলেন। তাঁর কথায়, বিজেপির কর্মীরা মার খেলে দল তাঁদের পাশে থাকবে। তারা বাইরে মার খাচ্ছে, আর নেতারা বিধানসভার ভিতরে। কিন্তু লড়াই থামানো হবে না। শুভেন্দুর কথায়, পৃথিবী ঘুরছে। ২০০৪ সালে সিপিএম ২৩৫ আসন পেয়েছিল। ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামের পর আজ তারা বিদায় হয়েছে। এভাবেই ২০২১ সালে তৃণমূল ২১৩ আসন পেয়েছে। এবার রামপুরহাটের ঘটনা। এখন থেকে তৃণমূলও টাটা হয়ে যাবে। বিজেপি নেতার কটাক্ষ, ‘তোলামূল টাটা বাই বাই হয়ে যাবে’।
পাশাপাশি এদিন নবান্ন অভিযানের কথা ঘোষণা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, এপ্রিলের চতুর্থ সপ্তাহে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আলোচনায় বসবেন এবং দিন ঠিক করবেন নবান্ন অভিযানের। শুভেন্দুর গর্জন, নবান্নের ১৪ তলা নাড়িয়ে দিতে হবে। একই সঙ্গে জানান, কর্মীরা মার খেলে দল তাঁদের পাশে সর্বদা আছে, থাকবে।