কলকাতা: ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ৩ টি তারিখ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই তারিখে রাজনৈতিকভাবে কিছুই হয়নি। উলটে যে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে বিজেপিকে নিশানা করা হয়েছিল শাসকের তরফে। পরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছিলেন, তিনি সরকার বদলানোর কথা বলেননি। তবে তিনি যে নিজের মন্তব্যে অনড় তা স্পষ্ট হল। ‘ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব’, আবার হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: কার দখলে মেঘালয়? কতটা লড়াই দিতে পারবে তৃণমূল? ভোট কাটাকাটির ফসল তুলতে মরিয়া গেরুয়া শিবির!
ভগবানপুরের সভা থেকে আজ রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিজেপি বিধায়ক। নাম না করেই তিনি বলেন, বড় ডাকাতকে জেলে ঢোকাবেন। আর কর্মীদের উদ্দেশে প্রশ্ন করে বলেন, ‘ছোট ডাকাতকে আপনারা উপড়ে নেবেন তো?’ তবে কাকে বড় ডাকাত বললেন বিরোধী দলনেতা? কাকে ধরার কথা বলছেন তিনি সেটা এখনও পরিষ্কার হচ্ছে না। এছাড়া এদিন আবার নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার মামলা নিয়ে রাজ্যকে বিঁধেছেন তিনি। কিন্তু ‘ডেডলাইন’ পার হয়ে গেলেও শুভেন্দু যে নিজের লক্ষ্য স্থির করেই রেখেছেন তা বোঝা গিয়েছে। ডিসেম্বরের পর এবার জানুয়ারি মাসেই তাঁর মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা শুরু হল।
উল্লেখ্য, গত মাসের তিনটি দিনের উল্লেখ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, ডিসেম্বরের ১২, ১৪ এবং ২১ এই তিনটে দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তবে তাঁর উল্লেখিত এই তিনদিনে, রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ কোনও ঘটনা না ঘটলেও ১২ ডিসেম্বর, বীরভূমের রামপুরহাটে সিবিআই হেফাজতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ৩ জন। ২১ ডিসেম্বর উত্তেজক কোনও ঘটনাই ঘটেনি।