কলকাতা: সোমবার নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে বিধানসভায়। অধ্যক্ষের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়করা৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিরোধী দলনেতা সহ মোট পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মন এবং নরহরি মাহাতোকে সাসপেন্ড করেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতেই বিস্ফোরক দাবি করা হচ্ছে বিজেপির তরফে। তাদের অভিযোগ, সাদা পোশাকের পুলিশ ঢুকিয়ে বিধানসভায় মারধর করা হয়েছে বিজেপির বিধায়কদের। এই অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- বগটুই-কাণ্ডে উত্তাল বিধানসভা, বিধায়কদের হাতাহাতি, সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর
শুভেন্দুর বক্তব্য, কলকাতা পুলিশের কর্মীদের সাদা পোশাকে বিধানসভার ভেতরে ঢোকানো হয়। তারপর পরিকল্পনা করে বিজেপি বিধায়কদের ওপর হামলা চালানো হয়। পুলিশের হামলার পাশাপাশি শাসক দলের বিধায়করা তাদের মারধার করেন বলে অভিযোগ। এই গোটা ঘটনায় নাক ফেটেছে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের৷ তাঁর অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে ঘুষি মেরেছেন৷ অসিতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, বিধানসভায় চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়েছে কমপক্ষে ৮ জন বিজেপি বিধায়ককে। অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে ঘুসি মারা হয় এবং তাঁর জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ।
আসলে আজ বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন। এদিন এই উত্তেজনা ছড়ানোয় বিধানসভা মুলতবি করা হয়। পরে কবে আবার বিধানসভা অধিবেশন ডাকা হবে তা ঠিক করবেন অধ্যক্ষ। বিধানসভার ক্ষেত্রে দুটি শব্দ খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ একটি হল মুলতুবি এবং অপরটি হল সমাপ্তি৷ চলতি বাজেট অধিবেশন কিন্তু আজ সমাপ্ত হল না৷ তা আবারও ডাকা হবে৷