কলকাতা: তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেনের একাধিক জায়গার বাড়ি, অফিস, চালকল, তেলকল, কারাখানায় তল্লাশি চালিয়ে ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর আধিকারিকরা৷ এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আবার তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্যে। খোদ জাকির এই প্রসঙ্গে সাফাই দিয়ে বলেছেন, ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন কারণে নগদ অর্থের প্রয়োজন হয়৷ কিন্তু বিতর্ক যে এত সহজে থামবে না তা স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফ থেকে শুরু হয়েছে কটাক্ষ। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আক্রমণ করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়িতে ‘কুবেরের ধন’! ১৫ কোটি নগদ উদ্ধার করলেন আয়কর কর্তারা
এদিন সুকান্ত বলেন, এবার জাকির হোসেনের নাম বদলে ফকির হোসেন হবে। উনি আগামী দিনে যে ফকির হতে চলেছেন এই আশাই করা হচ্ছে বলে তোপ দাগেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যের সরকারকে কটাক্ষ করে সুকান্ত আরও বলেন, বাংলায় যা উন্নয়ন হচ্ছে তা শুধুমাত্র তৃণমূলের নেতা, বিধায়কদের বাড়িতেই যাচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে। তবে এর শেষ হতে আর বেশিদিন বাকি নেই। একই সঙ্গে তাঁর জাকির হোসেনকে ‘পরামর্শ’, যদি কারোর অনুপ্রেরণায় আরও কিছু জমিয়ে রাখেন তাহলে তা যেন তিনি এখনই বের করে দেন। বিষয় হল, জাকির নিজে জানিয়েছেন, শ্রমিক ও চাষিদের বকেয়া মেটাতে রাখা ছিল ওই টাকা। এক্ষেত্রেও প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, টাকা তো অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হওয়ার কথা। তাহলে চাষিদের নগদ টাকা তাঁর কাছে পড়ে থাকবে কেন?
বৃহস্পতিবার জাকির হোসেনের মুর্শিদাবাদ, দিল্লি ও কলকাতার বাড়ি, অফিস, চালকল, তেলকল, কারাখানায় তল্লাশি চালিয়ে ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর আধিকারিকরা৷ এই টাকা কার, কোথা থেকে এল, তার কোনও হিসেবই পাওয়া যাচ্ছে না বলে আয়কর দফতর সূত্রে খবর৷ এই বিষয়ে যা বলার এর পর আদালতে গিয়ে বলবেন বলেই জানিয়েছেন জাকির।