কলকাতা: জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়ে উদ্ধার যকের ধন৷ তাঁর কলকাতা, দিল্লি ও মুর্শিদাবাদের বাড়ি, অফিস, গুদাম এবং কারখানায় অভিযান চালিয়ে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানালেন আয়কর কর্তারা। শুধু মুর্শিদাবাদেই মিলেছে ১১ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছ প্রায় ১৫ কোটি টাকা৷
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে DA মামলার বেঞ্চ বদল, সোমবার শুনানি বিচারপতি রায় এবং বিচারপতি মাহেশ্বরীর বেঞ্চে
বুধবার মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে আচমকাই হানা দেন কেন্দ্রীয় আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সামসেরগঞ্জের গোবিন্দপুরে বিড়ির কারখানা রয়েছে জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের৷ বেলা ১১টা নাগাদ বিড়ি কারখানার সামনে এসে দাঁড়ায় আয়কর দফতরের তিনটি গাড়ি। তার পর গাড়ি থেকে নেমেই কারখানার ভিতরে ঢুকে যান বেশ কয়েকজন আধিকারিক৷ দীর্ঘক্ষণ সেখানে থাকার পর বেরিয়ে আসেন এবং অন্যত্র চলে যান৷ এর পর তাঁরা হানা দেন জাকিরের চালকল-তেলকল ও বাড়িতে। গোটা অভিযান পর্বে গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছিল বিএসএফ৷ তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন জানান, কয়েকদিন আগে আয়কর দফতর তাঁর কাছ থেকে রাইস মিল, তেল ও বিড়ি কারখানার খতিয়ান চেয়ে পাঠিয়েছিল৷ তারপরেই এই আচমকা হানা।
জাকির হোসেনের একটি অফিস থেকেই উদ্ধার হয় ৯ কোটি টাকা। একটি কার্টুনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ছিল এই যকের ধন। এভাবে কেন টাকাগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল? এত বিপুল পরিমাণ টাকা কার? এই সমস্ত প্রশ্ন আয়কপ আধিকারিকরা তাঁর অফিসের কর্মীদের কাছে জানতে চাইলেও কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেননি কেউ-ই। জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি সহ তাঁর ম্যানেজারের বাড়ি, বিধায়কের চালকল, তেলকল, জুটমিল মিলে মোট ২৮টি জায়গায় একসঙ্গে হানা দিয়ে একযোগে এদিন তল্লাশি চালানো হয়। এর পর বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হয় ‘কুবেরের ধন’। এই টাকা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>