কলকাতা: রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সকল বিরোধী দলকে একজোট হওয়ার বার্তা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে তিনি সিপিএম, কংগ্রেসকে জোটবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। ফেসবুকে এই নিয়ে পোস্ট করেছেন তিনি যা নিয়ে এখন বাংলার রাজনৈতিক মহলে আলোচনা। কিন্তু সকলের একটাই প্রশ্ন, বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে তিনি তৃণমূলের কথাও লিখেছেন। এক কথায়, দল নির্বিশেষে তিনি এক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। আদতে কী বলতে চাইলেন সুকান্ত?
আরও পড়ুন- কয়লা পাচার মামলা এবার খনি অঞ্চলের ১০ পুলিশ আধিকারিককে ভবানীভবনে তলব CID
আসলে ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, বাংলার স্বার্থে, ১০ কোটি বাঙালির স্বার্থে, সময় এসেছে বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস ভেদাভেদকে দূরে সরিয়ে রেখে একত্রিত হয়ে ভয়ের গ্যাস চেম্বার থেকে বেড়িয়ে এসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভুল নীতি, খামখেয়ালিপনা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার এবং সরকারকে আয়না দেখানোর। বাঁক দলের বিষয় বোঝা গেলেও কেন তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য ‘তৃণমূলকেই’ আহ্বান জানালেন, তা অনেকেই বোঝেননি। এর পিছনে কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে? এই প্রশ্নও উঠে গিয়েছে। যদিও সুকান্ত লিখেছেন, ”আজ না করতে পারলে ভবিষ্যতের কাছে আমাদের জবাব দেওয়ার মত কোনো উত্তর থাকবে না।”
আসলে বর্তমান সরকারের ওপর ঋণের বোঝা, সরকারি কর্মচারীদের ডিএ, বিরোধী কন্ঠ রোধ, দুর্নীতি সব ইস্যুতে কথা বলেই এই পোস্ট করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে একহাত নিয়েছেন। সুকান্তের কথায়, ”একসময় পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষকে পথ দেখিয়ে এসেছে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি আত্মবলিদান দিয়েছে বাঙালি জাতি। আজ আমাদের সংস্কৃতির অবশিষ্ট বলতে যা আছে সেটা হলো “খেলা হবে” সংস্কৃতি। রামকৃষ্ণ, মা সারদা, রানী রাসমণি, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ তৃণমূল। ভোট এলেই ক্ষমতা দখলের জন্য মানুষে মানুষে বিভেদ মারামারি ঝামেলা রক্ত খুন সন্ত্রাস। একবারও কেউ ভাবছে না, ভবিষ্যত প্রজন্ম বর্তমানের থেকে কি শিখবে?” প্রশ্ন রেখেছেন তিনি।