কলকাতা: ২০২৬ তো দূর, চলতি বছরেই নাকি সরকার পড়ে যাবে বাংলায়। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি যেতে পারেন জেলে! শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও এমনই দাবি করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যদিও শুধু দাবি করার জন্য করেননি, এর পিছনের ব্যাখ্যাও পর্যন্ত দিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর এই মন্তব্য কার্যত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। সুকান্তকে পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি সভাপতিকে।
আরও পড়ুন- লাগাতার আন্দোলনের জের, অস্থায়ী বাসকর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা পরিবহণ মন্ত্রীর
ঠিক কী বক্তব্য সুকান্তর? মঙ্গলবার তিনি দাবি করেন, হাতে গোনা কয়েক জন তৃণমূল নেতাই কিছুদিন পর জেলের বাইরে থাকবেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ হবে মন্ত্রীরা। এদিকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী জেলে যেতে পারে। তাই তিনি জেলে গেলে সরকার চালানোর মতো কেউ থাকবে না। সেই কারণেই রাজ্যের সরকারের পতন ঘটবে। আর এই ঘটনা আগামী ডিসেম্বর মাসেই ঘটবে বলেই দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে তাঁর এও প্রশ্ন, সব মন্ত্রীরাই যদি জেলে থাকেন তাহলে সরকার চালাবে কে? এই প্রসঙ্গেই তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে বলেন, তিনি জানেন না, তবে হতেই পারে মুখ্যমন্ত্রীর জেলযাত্রা হল।
গোটা বিষয় নিয়ে বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, রাজ্য বিজেপির নেতারা অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছেন। কোনও নেতাই যোগ্য নয়। বিজেপি কোনও লোকবল নেই বাংলায়। জনগণের ভরসা তাদের ওপর নেই। এক একজন, এক এক কথা বলছেন। কোনও দাবির কোনও ভিত্তিই নেই। বরং কুণালের পাল্টা দাবি, বিজেপির মধ্যেই কেমন একটা প্রতিযোগিতা চলছে।