নয়াদিল্লি: রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে ইতিমধ্যেই একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিপুরণ তো ঘোষণা করেইছেন, পাশাপাশি মূল অভিযোগ যার দিকে সেই আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে তুলে ধরেছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, দারুণভাবে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে রাজ্যপালের অপসারণ চেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- নিজেকে নির্দোষ বলছেন আনারুল! নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা চান
এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সক্ষাত করেন সুদীপ। তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, রামপুরহাটের ঘটনা খুব ভাল ভাবেই সামলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্যপাল এই ইস্যুতে যে মন্তব্য করেছেন তা একদম সঠিক নয়। তিনি সাংবিধানিক কাঠামোর বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করছেন। তাই তাঁকে সরানোর আর্জি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি শাহকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, ইতিমধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৫ জন পুলিশ আধিকারিককে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। যে দোষী সে ছাড়া পাবে না বলেই কড়া অবস্থান নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি এই ইস্যুতে রাজভবন-রাজ্য সংঘাত লেগেছে। সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল। তার পাল্টা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। পরে অবশ্য নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন ধনকড়।
এদিকে আজ বগটুই পৌঁছে মমতা জানিয়েছেন, যাঁদের বাড়িঘর পুড়ে গিয়েছে, তাঁদের সকলকে ঘর বানানোর জন্যে ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷ বৃহস্পতিবারই এই টাকা তুলে দেওয়া হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ব্যাপারে কোনও কার্পণ্য চলবে না৷ প্রয়োজনে দু’লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে আরও ৫ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি৷ এছাড়াও জখম তিন শিশুকে ৫০ হাজার টাকা করে এবং গুরুতর জখমদের এককালীন এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।