কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ফের একবার নতুনভাবে সরব হয়ে সমস্ত বিরোধী দল এবং অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল চিঠি লিখেছিলেন তিনি এই ইস্যুতে। আর এই চিঠির পরেই তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করলেন পড়শি ওড়িশা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে। সেই সাক্ষাৎ এখন চর্চা বাড়িয়েছে। মমতার চিঠির পরেই দুজনের দেখা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ইডি-র হাজিরা এড়ালেন অভিষেক! ই-মেল করে জানালেন কারণ
গতকাল সংসদে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক একটি কর্মসূচি নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা হয় তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঘটনাচক্রে তার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে চিঠি লিখেছিলেন। সমস্ত বিরোধী নেতানেত্রী ও অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের তিনি চিঠি দিয়েছিলেন। তবে এই সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়েই যে নবীন এবং সুদীপের মধ্যে কথা হয়েছে তা নয়। সূত্রের খবর, পরস্পরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তাঁরা। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন নবীন পট্টনায়েক। তবে আপাত দৃষ্টিতে এটিকে সৌজন্য সাক্ষাৎ ভাবা হলেও অনেকেই মনে করছেন মমতার চিঠির পর তৃণমূল-বিজেডি এই সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
গতকাল চিঠিতে মমতা উল্লেখ করেছিলেন যে, বিজেপি সরকার দেশের গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত হানছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করছে। তাই তিনি চাইছেন দেশের সব বিরোধী দল একসঙ্গে বৈঠক করুক যাতে কিছু উপায় বের করে এই পরিস্থিতি ঠেকানো যায়। মমতা চান, এই অত্যাচারি সরকারের হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে সব বিরোধীরা যেন একজোট হয়। চিঠিতে মমতা সরাসরি ইডি, সিবিআই-এর নাম উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে দুষেছেন। মমতার অভিযোগ, শুধুমাত্র অ-বিজেপি রাজ্য এবং তাদের নেতাদের নিশানা করা হচ্ছে বারবার।