পার্থ-কল্যাণময়ের পর নিজাম প্যালেসের ‘অতিথি’ এসপি সিনহা, তিন অভিযুক্তকে মুখোমুখি জেরা?

পার্থ-কল্যাণময়ের পর নিজাম প্যালেসের ‘অতিথি’ এসপি সিনহা, তিন অভিযুক্তকে মুখোমুখি জেরা?

কলকাতা: নিজাম প্যালেসে একসঙ্গে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তিন অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং শান্তিপ্রসাদ সিনহা৷ পার্থ-কল্যাণময়ের পর এসপি সিনহাকেও হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই৷ ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসএসসি’র প্রাক্তন উপদেষ্টাকে সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ আলিপুর আদালতের৷

আরও পড়ুন- শান্তিপ্রসাদের ফের সিবিআই হেফাজত, পার্থ-কল্যাণময়ের মতোই নিজামের ‘বাসিন্দা’

শনিবার শান্তিপ্রসাদকে আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়েছিল। অভিযোগ, নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন হয়েছে৷ যে দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম ষড়যন্ত্রী শান্তিপ্রসাদ সিনহা৷ তাঁর মাধ্যমেই বড় অঙ্কের টাকা যেত প্রভাবশালীদের কাছে৷ কিন্তু তিনি তদন্তে অসহযোগিতা করছেন না বলেই অভিযোগ৷ ফলে তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে শনিবার আদালতে জানান সিবিআই-এর আইনজীবী৷ এই আর্জি শুনে বিচারকের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘আপনারা কেন কথা বার করতে পারছেন না৷ এর জন্য কি বারবার অভিযুক্তকে হেফাজতে পাঠাতে হবে?’’ যদিও শেষ পর্যন্ত তাঁকে হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়৷ পার্থ ও কল্যাণময়ের সঙ্গেই সিবিআই হেফাজতে এসপি সিনহা৷

সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যা। কল্যাণময়ের গ্রেফতারের পরই ঘটনাচক্রে এই মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে নেয় সিবিআই। এবার আরও এক অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদকে নিজেদের হেফাজতে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ঘটনা পরম্পরা দেখে মনে করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই হয়তে পার্থ, কল্যাণময় ও শান্তিপ্রসাদকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চলেছে সিবিআই৷

মূলত তাঁদের কাছ থেকে সিবিআই জানতে চাইছে, এসএসসি’র নিয়োগপত্র কার নির্দেশে দেওয়া হয়েছিল? নিয়োগপত্র নিয়ে তাঁদের কী ভূমিকা ছিল? এর উত্তর পেতে তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার কথাও ভাবছে সিবিআই৷ তেমনটাই সিবিআই সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই যে এফআইআর দায়ের করেছিল, তাতে প্রথম নামই ছিল এসপি সিনহার। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বেশ কিছু অসঙ্গতি ধার পড়ে৷ এর পরই শান্তিপ্রসাদকে গ্রেফতার করা হয়৷ হাই কোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটির রিপোর্টেও শান্তিপ্রসাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷