মা আসছেন, কচিকাঁচাদের মুখে হাসি ফোটাতে ফের বেজে উঠল ‘সুর’

মা আসছেন, কচিকাঁচাদের মুখে হাসি ফোটাতে ফের বেজে উঠল ‘সুর’

কলকাতা: সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে যে ফারাক তা মুছতেই উদ্যোগী হয়েছে ‘সুর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন’। বেশ কিছু সময় ধরেই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলির পাশে দাঁড়াতে কাজ করে চলেছে তারা। ২০১৯ সাল থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ধ্বনিত হয়েছে এই সংগঠনের ‘সুর’। করোনা পরিস্থিতিতে তো বটেই, তারপরের সময়েও নিজেদের মূল ধারণা থেকে পিছিয়ে আসেনি তারা। এবার বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর আগেও কিছু মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সঙ্গবদ্ধ হয়েছিল তারা।

আরও পড়ুন- এক ওষুধেই গায়েব ক্যানসার! যুদ্ধজয়ের পথে বিজ্ঞানীরা

দুর্গা পুজোর জন্য নতুন জামা ও খাদ্য সামগ্রিক উপহার দিতে এবার ‘সুর’ পৌছে গিয়েছিল প্রিন্সেপ ঘাট এবং ইডেন গার্ডেন স্টেশন অঞ্চলে। ৬০ জন শিশু তাদের থেকে পুজোর পোশাক উপহার পেয়ে বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দে ভেসে গিয়েছে। পোশাক ছাড়াও কেক, চিপস, লজেন্সের মতো খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে তাদের সকলকে। এই সংগঠন আরও জানিয়েছে, পুজোর আগে শুধু এই কাজ করেই তারা বসে থাকবে না, পঞ্চমী এবং ষষ্ঠীর দিন দক্ষিণ কলকাতার একাধিক পুজো মণ্ডপের ঢাকিদের কম্বল বিতরণ করবে তারা। ‘সুরের’ অঙ্গীকার তারা এই সকল মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে।

আরও পড়ুন- চাঁদের মাটিতে মিলতে পারে অক্সিজেন, জ্বালানি! হতে পারে বসতি, দাবি গবেষকদের

বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতির ওপর দাঁড়িয়ে ‘সুর’ সংগঠন একটা জিনিস উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের সাহায্যের খুবই প্রয়োজন। সেই ভাবনা থেকেই ২০১৯ সালে এই সংগঠনের জন্ম। মূলত, কলেজ পড়ুয়াদের হাতে তৈরি এই দল। এর আগে তারা বেহালার একাধিক জায়গায় কাজ করেছে। বস্ত্র বিতরণ থেকে শুরু করে খাবার, এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রীও দান করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 3 =