কলকাতা: এসএসসি’তে চূড়ান্ত দুর্নীতির কারণে হাজার হাজার যোগ্য প্রার্থী বঞ্চিত হয়ে ৫৭৬ দিন ধরে কলকাতার ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ২০১২, ২০১৬ সালের আপার প্রাইমারি টেট পাস করা প্রার্থীরা নিয়োগ পায়নি, তাদের ধর্ণা চলছে মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তির পাদদেশে। যোগ্য বঞ্চিতদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে আন্দোলনের পাশে থাকার আশ্বাস জানাল মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি তথা এসটিইএ। এদিন প্রার্থীদের ধর্না মঞ্চে গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করলেন মঞ্চের সদস্যরা।
আরও পড়ুন- আইন মেনেই কাজ, অভিযোগ উঠলে তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি! জানালেন গৌতম
সমিতির দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশনে যে পাহাড়-প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে তাতে যুক্ত সমস্ত মন্ত্রী, নেতা ও আমলাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং যোগ্য প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে। এ নিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে তারা আছেন, সমিতিগতভাবে রাজপথে লড়াইয়েও চালাচ্ছে তারা। সংগঠনের দাবি, নিয়োগে দুর্নীতির দায়ে আজ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হলেও বহু নেতা আজও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরও গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে। আজ ধর্না মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এসটিইএ’র সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক শম্ভু মান্না, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার, কাশীনাথ দাস, অভিজিৎ মন্ডল, জহিরুদ্দিন মোল্লা, শ্রাবন্তী ঘোষ সহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে৷ ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। রাতভর টানা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বয়ানে অসঙ্গতি এবং জেরায় অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ এর পর গ্রেফতার হন মানিক৷