কলকাতা: রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা হামলায় মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের৷ তিনি রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরেই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং তাতে মৃত্যু হয়েছে একাধিক। কিন্তু তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছিলেন যে, তিনি জেনেছেন শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। সত্যিই কি দুর্ঘটনা, নাকি এর পিছনে অন্য রহস্য আছে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কিন্তু যে সিট গঠন হয়েছে এই ঘটনার তদন্তের জন্য তারা জানিয়েছে এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়।
আরও পড়ুন- সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা, রামপুরহাটের ঘটনায় সরব পার্থ
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের পুড়ে যাওয়া বাড়ি এবং এলাকা পর্যবেক্ষণের পর সিট বলছে, দুর্ঘটনা নয়, আগুন লাগানো হয়েছিল। কারা লাগিয়েছেন, তা তদন্ত করে দেখা হবে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা এই গ্রাম ও পাশের গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু এই ঘটনায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি জানিয়েছেন, একটি বাড়িতে আগুন লাগানোর জেরে সাত জনের একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও এক জনের। অর্থাৎ তাঁর কথায় মোট ৮ জন। তবে রামপুরহাট সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে দেহ পৌঁছেছিল ৭ জনের। আবার দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সোমবার তিন জনের মৃতদেহ তাঁরা উদ্ধার করেছিলেন। মঙ্গলবার সকালে একটি বাড়ি থেকেই সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাহলে তাদের কথায় মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিরোধীরা তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও শাসক শিবিরের বক্তব্য, এটা বড় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। বাংলাকে এবং তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, কত জনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।