কলকাতা: হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঠাকুরনগরে মতুয়া মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ তার উদ্বোধন। সেই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভার্চুয়ালি সেই ভাষণের সাক্ষী থাকল মতুয়া সম্প্রদায় তো বটেই, গোটা বাংলা। তবে এই ভাষণে উঠে এল হিংসা, হানাহানির কথা। তবে কি বগটূই গ্রামের ঘটনার প্রসঙ্গ তুললেন মোদী? জল্পনা।
আরও পড়ুন- বাংলার সাংসদদের হঠাৎ বাসভবনে আমন্ত্রণ করলেন মোদী, ব্যাপার কী
আজ তিনি বলেন, দুর্নীতির মোকাবিলা এবং রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে নেমে আসা আক্রমণ মোকাবিলা করতে হবে। হিংসা, অরাজকতা বন্ধ করতে হবে। মতুয়া সমাজের থেকে শিক্ষা নিয়ে এগোতে হবে বলে জানান নমো। তিনি নিজেও এখান থেকে অনেক কিছু শিখেছেন বলে দাবি করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই সময়ে হরিচাঁদ ঠাকুরের দর্শনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’’ পাশাপাশি গত বছর বাংলাদেশের ওড়কান্দি সফরের কথাও মনে করান তিনি। উল্লেখ্য, আজ হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১১ তম আবির্ভাব তিথি, তাই আজ থেকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই মেলা। আগেই এই মেলা উপলক্ষ্যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার আজ ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখলেন তিনি।
এদিন মোদী প্রথমেই ‘জয় হরিবোল’ ধ্বনি তোলেন। তারপর বাংলাতেই হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১১ তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষ্যে তিনি সকলকে শুভেচ্ছা ও নমস্কার জানান। শান্তনু ঠাকুর, মঞ্জুল কৃষ্ণ ঠাকুর সহ বাকি মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান এবং মনে করান যে, গত বছর গুরুচাঁদ ঠাকুর ও মতুয়া সম্প্রদায়কে তিনি শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছিলেন। এটাকে তিনি সৌভাগ্য মনে করেন। তিনি বলেন, আজ প্রযুক্তির মাধ্যমে আবার ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে তিনি নিজেকে আরও সমৃদ্ধ মনে করছেন। এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ঠাকুরবাড়ি সব সময় তাঁকে আপন ভাবে।