কলকাতা: সম্পত্তি বৃদ্ধি ইস্যুতে ইতিমধ্যেই বহু নেতার নামে মামলা দায়ের হয়েছে আদালতে। এবার এই মামলায় নাম জড়াল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তেওয়ারি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর বক্তব্য, ২০১১ সালের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার দরকার। এই ইস্যু নিয়ে অবশ্য সোমবারই কটাক্ষ করেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- কয়েক হাজার কোটি! রাজনৈতিক দলগুলি পেয়ে আসছে ‘অজানা উৎস’ থেকে
সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির হিসেব চেয়ে বলা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত গরিব পরিবার থেকে এসেছেন। তাঁর ছয় ভাই আছেন। ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস দল গঠন করার পর অবশেষে ২০১১ সালে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কীভাবে এই বৃদ্ধি, তাই জানতে চাওয়া হয়েছে এই জনস্বার্থ মামলায়। অরিজিৎ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি এই সম্পর্কে জানতে চান এবং তাঁরই আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি।
এই ইস্যুতে এদিনই মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ২৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে তিনি বলেন, তাঁর নামেও নাকি মামলা করা হয়েছে সম্পত্তি ইস্যুতে। এই মামলা এখানে কেন, এই মামলা আন্তর্জাতিক আদালতে হোক। কটাক্ষ করেন মমতা। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকার সুবাদে এক লক্ষ টাকা করে পেনশন পেতেন তিনি। ১২ বছর ধরে তা নেননি। খুব দরকার ছাড়া সরকারি গাড়িও চড়েন না। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও তিনি কোনও টাকা নেননি এবং বাইরে গেলে তিনি চাও নিজের টাকা দিয়ে খান। এদিকে পরিবার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তাঁরা সবাই আলাদা আলাদা পরিবার। সবাই বিয়ে করে আলাদা হয়ে গিয়েছে। শুধু উৎসবের সম্পর্ক আছে। কালীপূজো, ভাইফোঁটা, দোল এই সময়গুলিতে একসঙ্গে আসে, বাকি সময়ে কারোর সঙ্গে কারোর সম্পর্ক নেই। মমতা স্পষ্ট করেছেন, বাকি সব প্রমাণ দেওয়াই আছে।