শাসকের ইন্ধনে গৃহযুদ্ধ! বীরভূমের পুলিশ সুপারকে চিঠি শিশু অধিকাররক্ষা কমিশনের

শাসকের ইন্ধনে গৃহযুদ্ধ! বীরভূমের পুলিশ সুপারকে চিঠি শিশু অধিকাররক্ষা কমিশনের

রামপুরহাট: তৃণমূল উপপ্রধান খুনের পর বগটুই গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। শাসক দল তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে করা হচ্ছে একের পর এক অভিযোগ। বিরোধীরা তো বটেই, ঘাসফুলের দিকে অভিযোগের তির ছূড়ে দিয়েছে জাতীয় শিশু অধিকাররক্ষা কমিশন। তারা বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে চিঠি দিয়েছে তদন্তের দাবিতে। তাদের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের ইন্ধনে চলছে গৃহযুদ্ধ। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।

আরও পড়ুন- সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা, রামপুরহাটের ঘটনায় সরব পার্থ

জাতীয় শিশু অধিকাররক্ষা কমিশন বীরভূমের পুলিশ সুপারকে যে চিঠি দিয়েছে তাতে তারা জানিয়েছে, রামপুরহাট-কাণ্ডে শিশু এবং মহিলাদের অধিকার খর্ব হয়েছে। এই ঘটনায় যে তদন্ত হচ্ছে তার রিপোর্ট তদন্তের পর তিন দিনের মধ্যে জমা দেওয়া যেতে পারে তাদের কাছে। কমিশনের অভিযোগ, বাংলার শাসক দলের অঙ্গুলিহেলনেই এই কাজ চলছে। তাই তারা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে নোটিস দিয়েছে। কমিশন এও জানিয়েছে, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ঘটনায় মঙ্গলবার তাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল। শাসকের দুষ্কৃতীরা পরপর বাড়িতে আগুন লাগায় এবং এই ঘটনায় একাধিক শিশু আর মহিলার মৃত্যু হয়েছে। বাকি শিশু-মহিলাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে ঘটনার তদন্ত করা হোক বলে দাবি তাদের।

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা হামলায় মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের৷ তিনি রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরেই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং তাতে মৃত্যু হয়েছে একাধিক। মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও মৃত্যু দুই অঙ্কে পৌঁছেছে। বিরাট আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এই বগটুই গ্রামে। আবার হামলা হবে নাতো? এই প্রশ্ন এখন গ্রামের সকলের মনে। আর এই ভয় থেকেই গ্রাম ছাড়া হচ্ছেন অনেকে। রাত নামতেই আতঙ্ক বাড়ছে, চারিদিক খা খা করছে। আগের রাতের স্মৃতি ভিড় করে আসছে সকলের মধ্যে। তাই আশঙ্কা এবং আতঙ্ক দুইই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। সেই কারণেই এই গ্রামে আর থাকতে চাইছেন না কেউ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *