কলকাতা: রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে উত্তেজনার শেষ নেই। তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। আর এই ঘটনার আবহেই গতকাল আরও একটি বড় ঘটনা ঘটেছিল। বুধবার রাতে আততায়ীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন নদিয়ার হাঁসখালির তৃণমূল নেতা সহদেব মণ্ডল। আজ তাঁর অস্ত্রপচার হল কলকাতার হাসপাতালে। তবে তিনি এখনও সঙ্কটজনক, এমনটাই জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- বগটুইয়ের কালো রাতের পর থেকেই নিখোঁজ আকাশ, সূর্য, কোথায় গেল দুই শিশু?
বগটুইয়ের ঘটনার মধ্যেই নদিয়ার এই ঘটনা রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বুধবার রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সহদেবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর প্রথমে তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। তাই তাঁকে কলকাতায় আনা হয়। শহরের হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা হয়। এখন জানা গিয়েছে, তিনি সংজ্ঞাহীন রয়েছেন, শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল হয়নি। আপাতত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। এও জানা গিয়েছে, অস্ত্রপচার করার আগে দু’বার বমি করেছিলেন তিনি, তার সঙ্গে রক্ত বেরিয়েছিল।
এদিকে সহদেবের স্ত্রী অনিমা মণ্ডল হাঁসখালি পঞ্চায়েতে তৃণমূল সদস্যা। এলাকার স্থানীয় নেতৃত্ব দাবি করছে, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নয়, এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি। তবে আসল দোষী কে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। কিন্তু যেভাবে একের পর এক জনপ্রতিনিধি খুন বা আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে রাজ্যের আইন পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিরোধী শিবির।