বগটুই: বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের আকাশে এখনও ছড়িয়ে আতঙ্কের মেঘ৷ চোখের সামনে গোটা পরিবারকে জ্বলে পুড়ে শেষ হতে দেখেছে মিহিলাল শেখ৷ অথচ পরিবারেরই দুই শিশুর কোনও খোঁজ নেই৷ প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল ওই দুই শিশুর আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে৷ শিশু মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বীরভূম পুলিশকে চিঠিও পাঠিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। কিন্তু, সরকারি তথ্য বলছে আগুনে পুড়ে ওই দুই শিশুর মৃত্যু হয়নি৷ তারা নিখোঁজ৷ কোথায় গেল শিশু দুটি? খোঁজ শুরু করেছে পরিবার৷
আরও পড়ুন- ‘আর একটা নন্দীগ্রাম করতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু’, বগটুই-কাণ্ডে বিস্ফোরক জয়প্রকাশ
সোমবার রাতে এই মিহিলালের বাড়িতেই আগুন ধরিয়ে দেয় অপরাধীরা৷ সেই আগুনই গ্রাস করেছে মিহিলালের প্রায় গোটা পরিবারকে। স্ত্রী, সন্তান সবাই ঝলসে গিয়েছে৷ কোনওভাবে পালিয়ে বেঁচেছেন মিহিলাল। জীবন ফিরে পাওয়ার পর মিহিলালের দাবি, তাঁর দুই নাতির কোনও খোঁজ নেই। দুই নাতির নাম আকাশ ও সূর্য৷ মিহিলাল জানিয়েছেন, সোমবারের সেই অভিশপ্ত রাতের পর থেকেই শিশু দুটির কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না তিনি।
এদিকে, মঙ্গলবার রাতে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ থেকে মোট আটজনের দেহ বগটুই গ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। কিন্তু, এই মৃতদেহের মধ্যে দুই শিশুর দেহ ছিল না৷ ঘটনার পর বাড়ির বাইরে শিশুদের জুতো পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। ওই ঘটনার পর শিশুদুটির কী অবস্থা হয়েছে, সে এখনও অস্পষ্ট৷ তারা কি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল? মিহিলাল বলছেন, তাঁর নাতিদের নিয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি পুলিশ বা প্রশাসন৷ সূর্য, আকাশকে নিয়ে দুর্ভাবনায় মিহিলাল৷
তবে রামপুরহাটের ঘটনার পর বীরভূম পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে চিঠি লেখা হয়েছে৷ শিশু সুরক্ষা কমিশনের আর্জি, যাতে দ্রুত যোগ্য আধিকারিকদের দিয়ে ঘটনার তদন্ত করানো হয়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>