কলকাতা: বগটুই গণহত্যাকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার। এদিন তৃণমূলের মুথপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাশে বসে জয়প্রকাশ বলেন, “বিজেপি’র একটি বৈঠকে শুভেন্দু একবার বলেছিলেন, আমরা যদি একটা নন্দীগ্রাম করিয়ে দিতে পারি তাহলে কেল্লাফতে। পরশু দিনের ঘটনার পর থেকে আমার মাথায় সেই কথাটাই ঘুরছে।” উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই রাজ্য সরকার দাবি করছে, এই ঘটনার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে৷ সেই মন্তব্যকে আরও জোরাল করল জয়প্রকাশের কথা৷
আরও পড়ুন- ‘ওঁরা ট্যুরিজম পলিটিক্স করতে গিয়েছে, তাই শক্তিগড়ে ল্যাংচা খাচ্ছে’, BJP-কে খোঁচা কুণালের
বৃহস্পতিবার বেলায় বগটুই যাবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলবেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে৷ তদন্তের গতিপ্রকৃতিও সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন তিনি৷ এদিকে, আজই বগটুই যাচ্ছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলও। তাঁদের সঙ্গে যাবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির দলে রয়েছেন রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসারও৷ এদিকে বৃহস্পতিবার কলকাতায় বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল করার কথা ছিল। জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সফরের জেরে সেই অভিযান বাতিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বগটুই কাণ্ডের পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। রাজ্যে ৩৫৫ ধারা কার্যকর করার আরজি জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। আজ বগটুই যাওয়ার কথা রয়েছে অধীরেরও। অন্যদিকে এদিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>