শবদেহ কাণ্ডে সাহায্যকারীই গ্রেফতার! অভিযুক্তের তালিকায় তিন নিরাপত্তারক্ষী

শবদেহ কাণ্ডে সাহায্যকারীই গ্রেফতার! অভিযুক্তের তালিকায় তিন নিরাপত্তারক্ষী

জলপাইগুড়ি: অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় মায়ের শবদেহ কাঁধে নিয়ে হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছিল জলপাইগুড়ির এক যুবককে। সঙ্গে ছিল তার বাবাও। এই ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। হাসপাতালের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায় সকলকে। তবে ঘটনা অন্য মোড় নেয় যখন ওই মৃতদেহ সৎকারের জন্য এগিয়ে আসা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধারকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ ছিল, গোটা ঘটনাই নাকি সাজানো। তবে এখন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তিন নিরাপত্তারক্ষীর নাম।

আরও পড়ুন- হাইকোর্টে অশান্তি, দুটি পৃথক মামলা রুজু করল লালবাজার

জলপাইগুড়ি এই মর্মান্তিক ছবি সামনে আসার পর মৃতদেহ সৎকারের জন্য এগিয়ে আসে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সাহায্য করা হয় শববাহী গাড়ি দিয়ে। কিন্তু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল অ্যাম্বুলেন্স চালক অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি ছিল, পুরো বিষয়টা সাজানো এবং মিডিয়াকেও তৈরি করে রাখা হয়েছিল। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই গ্রেফতারি নিয়েই এখন বড় প্রশ্ন। যে সাহায্য করল তাকেই গ্রেফতার কেন করা হবে, এই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও মৃতার স্বামীর দাবি, সাজানো ঘটনা নয়। সাংবাদিকরা কিছুই করেনি। তিনি স্বেচ্ছায় কাঁধে করে মৃতদেহ নিয়ে গিয়েছেন, কেউ তাকে বাধাও দেয়নি।

এদিকে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্ট বলছে, যে তিনজনের নাম রয়েছে তাঁরা ঘটনার সময় জলপাইগুড়ি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে দায়িত্বরত ছিলেন। তাঁদের সামনে দিয়েই ওই শবদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি। তাই তাদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − 7 =