কলকাতা: শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর ব্যাঙ্কক যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাঁকে বাধা দেন অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা৷ পরে দমদম বিমানবন্দরে এসে তাঁর হাতে তিন পাতার একটি সমন ধরান ইডি আধিকারিকরা৷ তলবে সাড়া দিয়ে এদিন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে যান মেনকা। সেই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষ হল ৭ ঘণ্টা পর। অবশেষে ইডি দফতর থেকে বেরতে দেখা যায় অভিষেক শ্যালিকাকে।
আরও পড়ুন- ভারত-বাংলাদেশ রেলপথের অংশ ছিল আজকের বিধাননগর রোড! জানুন অজানা কাহিনী
ইডি নোটিশে সময়ের বিভ্রাট ছিল, এমনই দাবি করেছিলেন মেনকা। আসলে তিনি প্রথমে রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে যান। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁকে যে সমন পাঠানো হয়েছিল, তাতে রাত সাড়ে ১২টাই উল্লেখ করা হয়েছিল। যদিও পরে সেই ভুল সংশোধন করে দুপুরে ইডি তলব করে তাঁকে। সেই প্রেক্ষিতেই আবার সোমবার দুপুরে ইডি দফতরে হাজিরা দেন মেনকা। অবশেষে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতর থেকে বেরোন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা।
তবে এই আবহেই ইডির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মেনকা গম্ভীর। আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর আইনজীবী। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে বলে জানা গিয়েছে। মেনকার আইনজীবীর দাবি, মেনকা বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দেয়নি। তা সত্ত্বেও মেনকাকে কেন বিমানবন্দরে আটকানো হয়, এই প্রশ্ন তুলেই ইডির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।