কলকাতা: বালির পতিত পাবন পাঠক শ্রমজীবী ক্যান্টিনের এক বছর পূর্ণ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে হাওড়ায় এসে রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে মন্তব্য করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম। বললেন, সিভিক পুলিশ, সিভিক সেনার পর এবার হচ্ছে সিভিক শিক্ষক। এটা চরম লজ্জার এবং অন্যায়। অন্যদিকে, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ থেকেও একই রকম অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, মারাত্মকভাবে শিক্ষক সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির তদন্ত মাসের পর মাস চলছে কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ার মতো আসল কাজটি বাস্তবায়িত হচ্ছে না। যার ফলে সামগ্রিকভাবে শিক্ষাব্যবস্থা আজ ধ্বংসের মুখে। এই প্রেক্ষিতেই তাদের দাবি, নিয়োগের দুর্নীতির তদন্ত হোক এবং প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক কিন্তু কোনভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্তব্ধ করে রাখা চলবে না। অবিলম্বে সমস্ত শূন্য পদে নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: যশবন্তে অস্বস্তি বঙ্গ সিপিএমের! দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন জেএমএমের! শুরুতেই টালমাটাল বিরোধী জোট?
সেলিমের বক্তব্য, যে ভাবে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তা সিভিক শিক্ষকের মতো। সিভিক পুলিশ, সিভিক সেনা, এবার সিভিক শিক্ষক। চরম অন্যায় হচ্ছে। বালির পুর ভবিষ্যত নিয়েও একহাত নিয়েছেন সেলিম। গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা নেই ওদের। তাই হাওড়া বালিতে নির্বাচন না করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।
এদিকে, বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলকে ওই অনুষ্ঠান থেকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন সেলিম। উঠে আসে গুজরাট দাঙ্গা থেকে মহারাষ্ট্র প্রসঙ্গ। গুজরাট সম্পর্ক বলেন, আদালতের দোহাই দিয়ে গুজরাটের কলঙ্ক মুছতে পারবে না বিজেপি। এছাড়া মহারাষ্ট্র ইস্যু নিয়ে বলেন, রাজনৈতিক ডামাডোলে টাকার থলি নিয়ে ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি। এ রাজ্যে মুকুল রায়দের দিয়ে তৃণমূল যে খেলায় নেমেছিল মহারাষ্ট্রেও বিজেপি সেই খেলাই খেলছে। এখানে চিটফান্ডের টাকা বিলিয়েছিল তৃণমূল, ওখানে আদানি আম্বানিদের টাকায় বিজেপি এসব করছে।