কলকাতা: আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ ১০৮ পুরসভায় ভোট। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। বিজেপি প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে এই নির্বাচনে। আগের ভোটগুলিতে তৃণমূল সন্ত্রাস করেছে বলে দাবি তাদের। তবে এই ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই আবহেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আবার। যার নিন্দা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন- আনিস মৃত্যুরহস্য উস্কে দিল রিজওয়ানের স্মৃতি, ফের কাঠগড়ায় পুলিশ, ইনসাফ চেয়ে উত্তাল রাজপথ
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাই পুরসভার বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে দেখা যায় দিলীপকে। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন, ভোট করানোর জন্য কাঁচা বাঁশ প্রস্তুত করে রাখা আছে। নিজের জোরে ভোট করতে হবে। তার প্রস্তুতি চলছে। প্রয়োজন পড়লে তা ব্যবহার করবে বিজেপির ছেলেরা! দিলীপের এই মন্তবের পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাঁকে সরাসরি কটাক্ষ করেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, মেয়াদ শেষের আগেই পদ হারিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। দলের নেতাদের মধ্যেই বিদ্রোহের আবহ। একে একে অনেক দল ছাড়ছেন। তাই এইসব বাঁশ, লাঠি নিজেদের জন্যই তাঁর রাখা ভালো। আসলে তিনি মনে করেন, বিজেপির এখন লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে নয়, তাদের নিজেদের সঙ্গেই।
উল্লেখ্য, রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ ১২ ঘন্টার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে বলে বুধবার জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, পুর নির্বাচনে কোনও রকম অশান্তি হলে তার দায় বর্তাবে কমিশনের উপরেই। এদিকে হাইকোর্ট এদিন আরও জানিয়েছে, নির্বাচনের প্রতিটি ফুটেজ এবং রেজিস্টার সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। পুর- নির্বাচনের জন্য পর্যবেক্ষক হিসেবে নিরপেক্ষ আইএএস অফিসার নিয়োগ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। দুয়ারে সরকার এবং পাড়ায় সমাধান এই দুটি প্রকল্প নির্বাচনী বিধি মেনে চলছে কিনা তাও দেখতে হবে৷ কোথাও বিধিভঙ্গ হলে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে গেরুয়া শিবির।