কলকাতা: এসএসসি’র বিভিন্ন গ্রুপে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্য সরকার। প্রতিনিয়ত এই ইস্যুতে কিছু না কিছু নতুন খোলাসা হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্ট বিভিন্ন নির্দেশ দিচ্ছে, চাকরিপ্রার্থীরা লাগাতার বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। তাদের নিশানায় রয়েছে রাজ্য সরকার, শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু এই ইস্যুতে মুখ খুলে সম্পূর্ণ বিষয়টি কার্যত রাজ্যের বর্তমান শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে ঠেলে দিলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ব্রাত্য বসু এই নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে কিছু জানেন না।
আরও পড়ুন- ২০১৬-র পর হয়নি পরীক্ষা, কবে হবে জানা নেই, দুর্নীতির কাঁটায় বিদ্ধ এসএসসি
এদিন কুণাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, নিয়োগ নিয়ে যে সমস্ত কেলেঙ্কারির কথা উঠে আসছে তা ব্রাত্য বসুর শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন জমানায় হয়নি। তখন পার্থ চট্টপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন রাজ্যের। যদি এই বিষয়ে কারোর কোনও প্রশ্ন থাকে তাহলে তিনি তা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে করার পরামর্শ দিয়েছেন। এক কথায়, তাঁর কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ঠিক এই বক্তব্যের পরেই সাংবাদিকদের প্রশ্ন ধেয়ে আসে তাঁর দিকে যে, তাহলে কি দুর্নীতির ব্যাপারটি পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানবেন। তখন কুণাল জানান, এটি দলের বিষয় নয় প্রশাসনিক বিষয়, তাই তিনি এই নিয়ে কিছু বলতে পারবেন না। তবে সেই সময় যেহেতু পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন এবং দলের মহাসচিবও ছিলেন, তাই তিনি হয়তো সবটা খুলে বলতে পারবেন। এমনই মত কুণালের।
এসএসসি গ্রুপ সি, ডি, নবম-দশম সবেতেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবারই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ৷ অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করে এই মামলার ভার সিবিআইকে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন তিনি৷ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায় রাজ্য। কিন্তু ব্যাক্তিগত কারণে মামলা থেকে সরে দাঁড়ায় বিচারপতি ট্যান্ডনের বেঞ্চ৷