কলকাতা: কালিপুজোর রাতে আতসবাজি ফাটাতে কে না ভালোবাসে৷ আর আতসবাজি মানেই রকেট মাস্ট৷ আরও এক ধরনের রকেট উড়তে আমরা দেখি৷ তবে তা টেলিভিশনের পর্দায়৷ কারণ ওটি ওড়ানো সাধারণ মানুষের কম্ম নয়। তবে সময় এখন এগিয়ে চলেছে ঝড়ের বেগে। যা এক সময় ছিল অকল্পনীয়, তা এখন ধরা দিচ্ছে হাতের নাগালে৷ এমন যদি হয়, মহাকাশযানের মতো দেখতে একখানা জিনিস চলে আসে হাতের মুঠোয়! এ যেন খানিকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত। তবে তাতেই বা মন্দ কী?
আরও পড়ুন- তারিখের রাজনীতি চলছে বঙ্গে! শুভেন্দুর পাল্টা ‘দিন দিলেন’ কুণাল
ইসরোর সৌজন্যে এবার রকেট ওড়ানোর স্বাদ কিছুটা হলেও পূরণ হতে চলেছে। রকেটিয়ার্স ইসরোর অফিশিয়াল মার্চেনডাইস তৈরি করে থাকে। তাদের ওয়েবসাইট rocketeers.in-এ ঢুঁ মারলেই দেখা মিলবে নানাবিধ ছোটখাটো রকেটের। যার দাম শুরু হচ্ছে মাত্র ১১০০ টাকা থেকে। দাম কম হলেও প্রযুক্তির তারতম্য নেই৷ একেবারে আসল রকেটের প্রযুক্তিতেই তৈরি করা হয়েছে এইগুলো। রকেটের সঙ্গে আপনি পেয়ে যাবেন ফুয়েল কার্টিজ। তবে রকেট লঞ্চারটি আলাদা করে কিনতে হবে। যার দাম ১৬০০ টাকা। সেই লঞ্চারের মাধ্যমেই কার্টিজের সঙ্গে একটি বৈদ্যুতিক তার যুক্ত করা হবে৷ কার্টিজটি থাকবে মূল রকেটের একেবারে নীচে। লঞ্চারে বোতাম টিপলেই কার্টিজের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবারহ হবে এবং রকেট উড়বে আকাশে। ৬০০ থেকে ১২০০ ফুট উঁচুতে এই রকেট উড়তে পারে। তবে তা একেবারে উড়ে যাবে না৷ আবার ফিরে আসবে আপনার কাছেই৷ প্রতিবার রকেট ওড়ানোর খরচ ১১০০ টাকা৷
রকেটের মাথায় রয়েছে একটি প্যারাশ্যুট। আসল রকেটের এই অংশে থাকে স্যাটেলাইট। নীচে নামার সময় ওই প্যারাশ্যুট নিজে থেকেই খুলে যাবে। ফলে খুব সহজেই আপনার হাতে ফিরে আসবে ওই রকেট৷ তবে প্রতিবার ওড়ানোর জন্য প্রয়োজন হবে ফুয়েল কার্টিজ৷ যার দাম প্রায় ৩০০ টাকা। ৪০০ মিটারের ফাঁকা জায়গায় ভালোমতো উড়বে এই রকেট৷
অনলাইনে কিনতে না চাইলে চলে আসতে পারেন সায়েন্স সিটিতে৷ সেখানে ন্যাশনাল স্পেস সায়েন্স এগজিবিশন অ্যান্ড আউটরিচে রকেটিয়ার্সের স্টলে গেলে একেবারে হাতে ধরে দেখে আসতে পারেন এই রকেট। তবে হাতে সময় বেশি নেই। রবিবারই শেষদিন৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>